
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামার পর এখনও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানে এখনও সীমান্ত কোনও রকম উস্কানি ছাড়াই সমস্যা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের বিভিন্ন স্থান থেকে দুটি পাকিস্তানি ড্রোন উদ্ধার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আন্তর্জাতিক সীমান্তে আটক হওয়া মানবহীন বিমানের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে, বিএসএফ জানিয়েছে যে, গুরুদাসপুর এবং অমৃতসর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুটি পাকিস্তানি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে।
"একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, বিএসএফ ও পাঞ্জাব পুলিশের যৌথ অভিযানে আজ সকালে গুরুদাসপুর জেলার শাহুর কালান গ্রামের কাছে একটি কৃষি জমি থেকে একটি ড্রোন (ডিজেআই ম্যাভিক ৩ ক্লাসিক) উদ্ধার করা হয়েছে," বিএসএফ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৯:৪৫ টায়, বিএসএফ সৈন্যরা অমৃতসর জেলার ভাইনি রাজপুতানা গ্রামের পাশের একটি কৃষি জমি থেকে আরও একটি ডিজেআই ম্যাভিক ৩ ক্লাসিক ড্রোন উদ্ধার করেছে বলে বিএসএফ জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তে মোতায়েন করা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপের কারণে ড্রোন দুটি ভেঙে পড়েছে।
সীমান্তে শক্তিশালী প্রযুক্তিগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে এবং পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ-এর নিরলস চেষ্টা আর কড়ানজরদারি চলছে। এই পরিস্থিতিতেই সীমান্ত পার থেকে অবৈধ ড্রোন অনুপ্রবেশ আটকে দেওয়া গিয়েছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল একাধিক যৌথ অভিযানে বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশ বিএসএফ সূত্রের নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাঞ্জাব সীমান্তে অস্ত্র, মাদক এবং ড্রোন উদ্ধার করেছিল। অমৃতসর জেলার দাওকে গ্রামের কাছে প্রথম অভিযানে, একটি ক্ষতিগ্রস্ত ডিজেআই ম্যাভিক ৩ ক্লাসিক ড্রোন, একটি পিস্তল এবং একটি ম্যাগাজিন একটি কাটা মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তরণ তারন জেলার ওয়ান গ্রামের কাছে আরেকটি অভিযানে, সন্দেহজনক হেরোইনের একটি প্যাকেট (৫৫০ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে, অমৃতসরের রতনখুর্দের কাছে তৃতীয় অভিযানে আরেকটি ক্ষতিগ্রস্ত ডিজেআই ম্যাভিক ৩ ক্লাসিক ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। এই উদ্ধারগুলি সীমান্ত পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে এবং জাতিবিরোধী উপাদানের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার জন্য বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টার প্রমাণ দেয়।