'ভ্যাকুয়াম ক্লিনার'এও ময়লা যাবে না', গান্ধীদের সঙ্গে জাকির নায়েকের গোপন লেনদেন ফাঁস

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের অর্থ পাচারের তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়

ফাঁস হল বিতর্কিত ধর্মগুরু জাকির নায়েক এবং গান্ধীদের ট্রাস্টের গোপন লেনদেন

এটাই দুর্ননীতির বড় প্রমাণ বলছে কেন্দ্র

সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীর মতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারেও এই ময়লা পরিষ্কার হবে না

amartya lahiri | Published : Jul 24, 2020 11:00 AM IST

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের অর্থ পাচারের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। খোঁজ মিলল বিতর্কিত ধর্মগুরু জাকির নায়েক এবং রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন, তদন্তের এই অগ্রগতিই ট্রাস্টের মালিকদের দুর্নীতির প্রমাণ।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এ নকভি বলেছেন, এই তথ্য থেকে প্রমাণ হয় যে এই ট্রাস্ট দুর্নীতিগ্রস্থ। এই নোংরা 'ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না' বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে আইন যে তাদের শিক্ষা দেবে, সেই কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেখিয়ে দিচ্ছে ট্রাষ্টের মালিকদের কোনওকিছুই ঠিক নেই। তাই আতঙ্কিত হয়ে তারা এখন ভিত্তিহীন বিবৃতি দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত লেনদেনের বিবরণ অনুসারে, ২০১১ সালে ইউপিএ সরকারে শাসনের সময়ে জাকির নায়েকের অ্যাকাউন্ট থেকে রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকার তহবিল স্থানান্তর করা হয়েছিল। ২০০২ সালে এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের গড়ে উঠেছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে।

গত ৮ জুলাই, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা কর্তৃক গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তিন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি আইন, আয়কর আইন, এফসিআরএ এবং অন্যান্য বেশ কিছু আইন ভভাঙার অভিযোগ রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর এই তদন্তকারী কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তার আগে গত ২৬ জুন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ইউপিএর সময় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে অর্থ অনুদান দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। টুইটারে ২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৭-২০০৮ সালে কীভাবে জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন-এর তহবিলে অর্থ প্রদান করা হয়েছে তার বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন নাড্ডা। সেই সঙ্গে চিনা দূতাবাস থেকেও এই প্রতিষ্ঠানের তহবিলে ৯০ লক্ষ টাকা অনুদানের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

Share this article
click me!