করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বৈঠক, বাংলাসহ ১২টি রাজ্যের জন্য পাঁচদফা গাইডলাইন কেন্দ্রের

 

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ 
  • ৫ দফা গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র 
  • মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবথেকে উদ্বেগজনক 
  • কেন্দ্র রাজ্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠক 
     

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ৫ মাসে এই প্রথম আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের গন্ডি ছাড়াল বলেও জানান হয়েছে। পরিস্থিতি সামালন দিতে শনিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গসহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, বাংলা, কর্ণাটক, পঞ্জাব ও দিল্লি সহ দেশের ১২টি রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। বৈঠকেই রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষ যাতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে তার ওপর জোর দিতে। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। 

Latest Videos

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, দেশের মোট ৪৬টি জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। মহারাষ্ট্রেই রয়েছে ২৫টি জেলা।  অতিমারী ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। 
প্রতিটি রাজ্যকেই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরটি পিসিআর টেস্টের ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। 
আক্রান্তদের দ্রুততার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করা ও তাদের সংস্পর্শে আসাদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৩০ জনকে চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
ফ্রন্টলাইন ও স্বাস্থ্য কর্মীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কারণ গত এক বছর ধরে তাঁরা মহামারির বিরুদ্ধে একটা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। 
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে মাত্র ৪৪ শতাংশ জনগণই মাস্কের ব্যবহার করে থাকেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যের বাসিন্দাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। 

তবে মহারাষ্ট্রের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক উদ্বিগ্ন। একই অবস্থা মহারাষ্ট্র প্রশাসনের। সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। হোলি, ইস্টার, শবে বরাতের অনুষ্ঠান পালনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাত ৮টার পর শপিং মল, রেস্তোঁরা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।  বাংলা, তামিলনাড়ু সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেই গত মাস থেকে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেখানে জমায়েতও বেড়েছ। সেই কারণেও ভোটের রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বেড়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News
'কেন্দ্র যদি একটু দয়া দেখায় তাহলে হুগলিতেও মেট্রো চলবে', আশাবাদী Rachana Banerjee
নওশাদ সিদ্দিকীকে জঙ্গি আখ্যা Saokat Molla-র, পাল্টা বড় পদক্ষেপ Naushad Siddiqui-র
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh