'চিন-ও এখন বুঝে গিয়েছে', পাকিস্তান কি তবে আন্তর্জাতিক মহলে একেবারে একা

অতীতে বহুবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় পাকিস্তান-কে সমর্থন জুগিয়েছে চিন

কিন্তু সেই সময় বদলে গিয়েছে

চিন-ও আর সবসময় পাকিস্তান-কে সমর্থন করবে না বলে দাবি করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ কমার পিছনে এফএটিএফ-এর ভূমিকা মেনে নিয়েছেন জেনারেল এমএম নারাভানে

 

amartya lahiri | Published : Feb 20, 2020 4:18 PM IST / Updated: Feb 20 2020, 09:50 PM IST

বিশ্বে চিন পরিচিত পাকিস্তানের 'সব-আবহাওয়ার বন্ধু' হিসেবে। কিন্তু, সেই চিন-ও বুঝে গিয়েছে সারাক্ষণ পাকিস্তান-কে সমর্থন দেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই বড় দাবি করলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে। কাশ্মীরে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর প্যারিস প্লেনারির কী প্রভাব পড়বে এই নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বলেন, 'চিন-ও বুঝতে পেরেছে তারা সবসময় তাদের সব আবহাওয়া বন্ধু-কে সমর্থন করতে পারবে না'।

শুধু তাই নয়, সেনাপ্রধান আশাবাদী, গ্লোবাল সন্ত্রাসবিরোধী ওয়াচডগ সংস্থা এফএটিএফ যদি পাকিস্তানের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে, তবে ইমরান খান তাদের দেশের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে নতুন করে ভাবতে  বাধ্য হবেন। ভারতের বিরুদ্ধে যেরকম উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করে চলেছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায়, সেরকমটা ফের করার আগে তাদের দুবার ভাবতে হবে। কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার পিছনে এফএটিএফ-এর বিধিনিষেধ অন্যতম একটি কারণ বলে মেনে নিয়েছেন সেনা প্রধান নারাভানে।

২০১৮ সালে থেকেই এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান।গত বছর তো কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার মুখ থেকে ফিরে আসে। তারপর থেকে পাকিস্তান নিজেদের এই ধূসর তালিকা থেকে বের করে আনার লক্ষ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম গত সপ্তাহে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের মামলায় জঙ্গি নেতা হাফিড সঈদ-কে কারাবন্দি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তারপরেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা আরও একবার ধূসর তালিকাতেই থাকছে।  

এফএটিএফ-এর ভোটাভুটিতে পাকিস্তান-কে চিন সমর্থন না দেওয়ার পরই জেনারেল নারাভানে এই মন্তব্য করলেন। প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে তাহলে কি আন্তর্জাতিক মহলে একা হয়ে পড়ল পাকিস্তান? এফএটিএফ-এ অবশ্য দুটি দেশ পাকিস্তান-কে সমর্থন করেছে - তুর্কি ও মালয়েশিয়া। তাহলে কি তৈরি হচ্ছে নতুন রাষ্ট্র জোট?

 

Share this article
click me!