সুপ্রিম কোর্টে লখিমপুর হিংসা মামলা, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার সওয়াল জবাব

বৃহস্পতিবার লখিমপুর খেরি মামলার শুনানি করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানি করবে বলে খবর মিলেছে।

Parna Sengupta | Published : Oct 7, 2021 4:12 AM IST

রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেড়ি হিংসার মামলা আজ উঠতে চলেছে দেশের শীর্ষ আদালতে। বৃহস্পতিবার লখিমপুর খেরি মামলার (Lakhimpur Kheri case) শুনানি (will hear the matter on Thursday) করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) এন ভি রামানার (NV Ramana) নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ (three-judge bench) বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানি করবে বলে খবর মিলেছে। 

উল্লেখ্য, রবিবার উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরি কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কৃষকরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ডাকা অনুষ্ঠান বানচাল করে দেয়। তারপরই গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষককে হত্যা করা হয়। পাল্টা কৃষকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে অশিস মিশ্রর। যদিও মন্ত্রী ও তাঁর ছেলে উভয়ই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে, কৃষকরা অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র একটি গাড়িতে বসেছিলেন। এই গাড়িটিই প্রতিবাদী কৃষকদের ওপর দিয়ে চলে যায়। যার ফলে চার কৃষকের মৃত্যু হয়।

যেহেতু এই ঘটনাটি একটি বড় রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে, সুপ্রিম কোর্ট বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে। জানায় একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানি করবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য জানাচ্ছে, এই মামলা শুনানিতে থাকবেন প্রধান বিচারপতি রামানা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ। মামলার শীর্ষক 'In re violence in Lakhimpur Kheri (UP) leading to loss of life'। 

এদিকে, বুধবার সকালেই লাখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অভিযোগ সেখানে যেতে তাঁকে বাধা দেয় উত্তর প্রদেশ সরকার। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধী দীর্ঘ অপেক্ষের পর এদিন সন্ধ্যে বেলা সীতাপুর পৌঁছান। সেখানেই রবিবার রাত থেকে আটক ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। লাখিমপুরখেরি যাওয়ার পথেই তাঁকে আটক করা হয়েছিল। এদিন প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপরই দুই ভাইবোন লাখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাতের দিনে তাঁরা নিহত কৃষকপরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। 

অন্যদিকে এদিনই কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট ও আচার্য প্রমোদও লাখিমপুরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তর প্রদেশ পুলিশ মুরাদাবাদের কাছে তাঁদের আটকে দেয়। দুজনকেই আটক করে পুলিশ। 

"

Share this article
click me!