বছরে বিক্রি ৭০ লক্ষ টাকার, কর দফতরের নজরে ছাপোষা কচুরির দোকান

  • কচুরির দোকানের মালিক কোটিপতি
  • বছরে বিক্রি প্রায় সত্তর লক্ষ টাকার
  • তা সত্ত্বেও কর দেন না মালিক
  • উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের ঘটনা

debamoy ghosh | Published : Jun 25, 2019 7:49 AM IST / Updated: Jun 25 2019, 01:22 PM IST

সরু গলির মধ্যে ছোট্ট কচুরির দোকান। কিন্তু সব সময়েই ক্রেতাদের ভিড় লেগে রয়েছে। এমন দোকান হয়তো খোঁজ করলে কলকাতাতেও অনেক পাওয়া যাবে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের সেরকমই একটি ছোট্ট কচুরির দোকান এবার কমার্শিয়াল ট্যাক্স দফতরের নজরে পড়েছে। 

দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ওই দোকানের মালিক মুকেশ কুমার নিজে একজন কোটিপতি। ছোট্ট দোকানেই বছরে অন্তত ষাট থেকে সত্তর লক্ষ টাকার লেনদেন করেন। অথচ সরকারকে কোনও করই দেন না তিনি। 

একচি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, বিপুল পরিমাণ লেনদেন করা সত্ত্বেও নিজের নাম জিএসটি-তে নথিভুক্ত করেননি তিনি। আলিগড়ের সীমা টকিজের কাছে অত্যন্ত সাধারণ এই কচুরির দোকানটি গত দশ থেকে বারো বছর ধরে ব্যবসা করছে। সুস্বাদু কচুরির জন্য এলাকায় সুনামও রয়েছে। তাই সারাদিনই দোকানে ভিড় লেগে থাকে। 

দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'আমরা অনেক খুঁজে খুঁজে দোকানটা বের করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা কয়েকদিন রেকি করে দেখতাম দোকানে কোন সময়ে কেমন ভিড় থাকে। তার থেকেই লেনদেনর একটি আগাম আন্দাজ করে আমরা জুন মাসে সার্চ ওয়ারেন্ট বের করি। দোকানে অভিযান চালানোর সময়ই দোকান মালিক নিজেই আমাদের যাবতীয় হিসেব বের করে দেন।'

দোকানের মজুত করা কাঁচা মাল, তেল এবং ক্রেতাদের সংখ্যার অনুপাতে দোকান মালিকের আয়ের একটি সম্ভাব্য হিসেবও তৈরি করে ফেলে দফতর। কমার্শিয়াল ট্যাক্স দফতরের কর্তাদের হিসেব অনুযায়ী, ওই ব্যবসায়ীর বার্ষিক আয়ই এক কোটি টাকার বেশি হতে পারে।  এর পরেই অভিযান শুরু হয়। 

গত ১ এপ্রিল থেকে চালু হওয়া নিয়ম অনুযায়ী, বার্ষিক চল্লিশ লক্ষ টাকার উপরে লেনদেন হলেই ব্যবসায়ীদের জিএসটি-তে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি টাকার লেনদেন করা সত্ত্বেও ওই কচুরির দোকানের মালিক জিএসটি-তে নাম নথিভুক্ত করেননি। দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, এ তো একটি মাত্র দোকানের খোঁজ মিলল। কিন্তু গোটা আলিগড় শহরেই এমন কত দোকান যে কর ফাঁকি দিচ্ছে, তার হিসেব কষবে কে?

Share this article
click me!