প্রথম দিনেই উড়ান বিভ্রাট, দিল্লি-মুম্বই সহ একাধিক শহরে যাত্রীদের না জানিয়েই বাতিল হল ফ্লাইট

  • ২ মাস পর দেশে শুরু অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা
  • সকাল থেকেই বিমান ধরতে যাত্রীরা উপস্থিত হন বিমানবন্দরে
  • এরমধ্যেই দিল্লিতে বাতিল করা হয় ৮০টির বেশি বিমান
  • একই চিত্র চোখে পড়ে মুম্বই-বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইতেও

Asianet News Bangla | Published : May 25, 2020 8:14 AM IST

গত দু'মাস ধরে লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল দেশের অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। অবশেষে কেন্দ্রের গ্রিন সিগন্যাল মেলায় পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রকে বাদ রেখে দেশের অন্যান্য রাজ্যে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল। কিন্তু যাত্রশুরুর প্রথম দিনেই বিমান বিভ্রাটে নাজেহাল হতে হল যাত্রীদের। 

জানা যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার পর এদিন রাজধানী থেকে ১২৫টি বিমান  দেশের বিভিন্ন শহরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। দিল্লিতে নামার কথা ছিল ১১৮টি বিমানের। লকডাউনে আটকে পড়া  বহু যাত্রীই বিমানে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি অনেকেই। জানা যায় এদিন ইন্দিরা গান্ধী বিমান বন্দর থেকে ৮০টিরও বেশি বিমান বাতিল করা হয়। শেষ মুহূর্তে বিমান বাতিল হওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। দিল্লি বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও একের পর এক পোস্ট করতে থাকেন। যাত্রীদের অভিযোগ, বিমান যে বাতিল করা হয়েছে তা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁরা জানতে পারেননি।

একই অবস্থা দেখা দিয়েছে বেঙ্গালুরুতেও। সেখানেও বাতিল করতে হয়েছে ৯টিরও বেশি অন্তর্দেশীয় বিমান। কিন্তু উড়ান বাতিলের নোটিফিকেশন অবধি তাঁদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। উড়ান চালু হওয়ার অপেক্ষায় বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের।

 

 

মুম্বইয়ে ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও একই দৃশ্য ধরা পড়ে। এদিন সেখানে মোট ৫০টি বিমান ওঠানামার কথা ছিল। সেকারণে বিমানবন্দরে ভোর থেকেই যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল। টার্মিনালে যাত্রীদের লাইনও ক্রমশই লম্বা হতে শুরু করে। যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিমান বাতিল হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বিমান  চলাচল কখন শুরু হবে তা নিয়েও তীব্র ধোঁয়াশা দেখা দেয় যাত্রীদের মধ্যে। দেশের বাণিজ্য রাজধানীতে এদিন  একাধিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। শুধুমাত্র সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ পাটনামুখী একটি বিমান রওনা দেয় মুম্বই থেকে। অন্য দিকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ভোর ৪.৪৫ নাগাদ পুনে রওনা দেয় একটি বিমান।

 

 

দিল্লি, মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর মত ছবি চোখে পড়ে চেন্নাইতেও। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, বিমান বাতিল হওয়ার খবর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জানানো হয়নি। বিমানবন্দরে পৌঁছে বাতিল হওয়ার খবর জানতে পারেন তাঁরা। এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। 

Share this article
click me!