শনিবার ভোর পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে ১২০টিরও বেশি মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই দু'শো ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা।
করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। শনিবার ভোর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ২৩৩। আহত প্রায় ৯০০। রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন, যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট করোমন্ডেল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগির লাইনচ্যুত বগিকে আঘাত করেছিল যা বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং বিপরীত ট্র্যাকে ছিটকে পড়ার জেরেই এই দুর্ঘটনা। বালেশ্বরে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, শনিবার ভোর পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে ১২০টিরও বেশি মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই দু'শো ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। উদ্ধারকাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে এখনও আটকে রয়েছেন বহু যাত্রী। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী।
আজই ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের পদস্থ অফিসারেরা। খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। গতকাল করোমন্ডল এক্সপ্রেস (12841) এবং পণ্য ট্রেনের বহনাগা স্টেশনের কাছে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি পণ্যবাহী ট্রেনে উঠে যায়। সূত্রের মতে, মোট ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং ৩৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রেনটি কলকাতার কাছে শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে যাওয়ার সময় সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটে এই দুর্ঘটনার কথা বলা হচ্ছে। এই বেদনাদায়ক দুর্ঘটনার পরে, সেই ট্রেনগুলির একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে, যেগুলি এখন হয় ডাইভার্ট বা বাতিল করা হয়েছে।