অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক হাতে পেতে অপেক্ষা আর ৫ মাস
ডিসেম্বরের মধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা
ভারতে প্রতিষেধকের দাম পড়বে হাজার টাকা
জানিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান
চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনাভআইরাসের প্রতিষেধক 'কোভিশিল্ড'এর ৩০০-৪০০ মিলিয়ন ডোজ হাতে পাওয়া যাবে। পুনের সেরাম ইন্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান আদার পুনাওয়ালা এই খবর জানিয়েছেন। অ্যাস্টোজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করেছে করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। হিউম্যান ট্রায়ালে ইতিমধ্যেই সদর্থক ফল দেখা দিয়েছে। তারপরই সেরাম ইনন্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সম্ভাব্য ভ্যাক্সিনের কমপক্ষে ৩০০ মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে প্রথম দফায়।
ভারতের এই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা বিশ্ব বিখ্যাত। এই সংস্থাটি অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক আবিষ্ককার প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার। সংস্থার প্রধান পুনেওয়ালা জায়িছেন ভারতেও এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সরকারি সংস্থার কাছে আবেদন জানান হয়েছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমান প্রতিষেধক তৈরির জন্য পরিকাঠামোই তৈরি কার হয়েছে।
সেরামের প্রধান জানিয়েছেন ১০টি শিশিতে থাকবে প্রতিটি ডোজ। তিনি আরও বলেন কোভিড-১৯এর প্রথম ভ্যাক্সিন হতে যাচ্ছে কোভিশিল্ড। ব্রিটেনের পর ভারতেও এর ট্রায়াল সফল হবে বলেই তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন ২০২১ সালের প্রথম দিকেই এই প্রতিষেধকটি প্রচুর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। তিনি আরও জানিয়েছেন ভারতে এই প্রতিষেধকের দাম পড়বে এক হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন যদি লাইসেন্স পাওয়া যায় তাহলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে কোভিশিল্ডের ট্রায়াল শুরু করা হবে। একই সঙ্গে প্রতিষেধক তৈরিতেও মনোনিবেশ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এই প্রতিষেধকের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল ইতিমধ্যেই হয়েছে। তাতেই সাফল্য এসেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। সেরামেপ পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এই টিকার ১০ কোটি ডোজ ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ সরকার কিনতে চেয়েছে। সেইমত চুক্তিও হয়েছে বলে জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট।