করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগে গোটা বিশ্ব।
ভাইরাস নয় বরং এটি অবতার বলে দাবি হিন্দু মহাসভার।
আমিষভোজীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই আবির্ভাব ঘটেছে।
রোগমুক্তির সহজ উপায়ও বাতলে দিলেন চক্রপানি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে চিনে মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়েছে। সারা বিশ্বেই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৈজ্ঞানিক মহল মাথা কুটে মরছে এর প্রতিষেধক খুঁজে পাওয়ার জন্য। কিন্তু, হিন্দু মহাসভা এই সংক্রমণ নি.য়ে মোটেই ভীত নয়। বরং তারা করোনাভাইরাস-কে স্বাগতই জানাচ্ছে, কারণ তাদের মতে এটা কোনও ভাইরাস নয় বরং ভগবানের 'অবতার'। আমিষভোজীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই এর আবির্ভাব ঘটেছে।
অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপাণি বিষ্ণুর নরসিংহ অবতারের সঙ্গে করোনাভাইরাসের তুলনা টেনেছেন। তাঁর মতে নিরীহ প্রাণীদের সুরক্ষার জন্যই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। যারা তাদের মেরে খায় তাদের মৃত্যু ও শাস্তির বার্তা দিতেই এই ভাইরাসের আগমন। চিন-কে প্রাণীদের নির্যাতন না করে নিরামিষাশী হওয়ার শিক্ষা দিতেই এই সংক্রমণ।
তবে স্বামী চক্রপানির দাবি, এই মহামারীর হাত থেকে চিনের মুক্তির সহদ উপায় আছে। তাঁর মতে, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর উচিত 'করোনার একটি প্রতিমা তৈরি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা' এবং সমস্ত আমিষভোজী চিনা জনসাধারণকে 'ভবিষ্যতে কোনও নিরীহ প্রাণীকে হত্যা না করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে'। এতেই 'করোনার রোষ কমে যাবে'।
ভারতে এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত তিনজনকে ইতিমধ্যে সনাক্ত করা হয়েছে। তবে তারা সকলেই সেড়ে উঠেছেন। হিন্দু মহাসভার প্রধানের অবশ্য দাবি, ভারতীয়দের এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের থেকে কোনও ভয় নেই। তাঁর মতে, 'ঈশ্বরের উপাসনা এবং গোমাতা-কে রক্ষা করার' জন্য়ই ভারতীয়দের ছুঁতে পারবে না করোনভাইরাস।