মানুষ কেনা বেচার অপরাধে সোনু পঞ্জাবনের ২৪ বছরের জেল, 'মহিলা বলার সীমা অতিক্রম করেছে' বলল আদালত

দিল্লির সেক্স রেকেটের মালকিন সোনু পঞ্জাবন
২৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ 
করোঠতম শাস্তির দাবিদার বলল আদালত
নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতেই শাস্তি 

Asianet News Bangla | Published : Jul 23, 2020 6:13 AM IST

দিল্লির সব থেকে বড় সেক্স রেকেটের মালকিন ছিল সোনু পঞ্জাবন। পাশাপাশি ২১ শতকে দাঁড়িও মানুষ কেনা বেচার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। দীর্ঘ দিন ধরেই রাজধানীর বুকে পুলিশের নাকের ডকায় দাড়িয়ে রমরমিয়ে অবৈধভাবে যৌন ব্যবসার অভিযোগ এবার সাজা পেল সোনু। যার অন্যনাম গীতা অরোরা। ২৪ বছর কারাদণ্ড ঘোষণার সময় আদালতের মন্তব্য ছিল 'মহিলা বলার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে এবং কঠোরতম শাস্তির দাবিদার'। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত ৬৪ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। 

কিন্তু কেন আদালত এই মন্তব্য করল তা জানতে গেলে একটু পিছন দিকে হাঁটতে হবে। সোনু পঞ্জাবনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ১২ বছরের একটি মেয়েকে অপহরণ করে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়েছিল। মেয়েটির অভিযোগ তাঁকে অপহরণ করেছিল সন্দীপ বেদওয়াল নামে এক ব্যক্তি। সোনু পাঞ্জাবন সেই মেয়েটিকে যৌন ব্যবসায় নামানোর জন্য কিনে নিয়ে ছিল বলেও অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে নির্যাতিতা মেয়েটিকে দিল্লি স্টেট লিগাল সার্ভিস অথারিটি ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেবে। কারণ এই ঘটনায় মেয়েটির শিক্ষাই যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নয়, তার শৈশবও নষ্ট হয়েছে। ২০১৪ সালে মেয়েটি সোনু পঞ্জাবনের অন্ধকার চক্র থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল। মেয়েটি পঞ্জাবনের এক কাস্টোমারের খপ্পরে ছিল। অভিযোগ সেই ব্যক্তি সোনুর কাছথেকেই ওই মেয়েটিকে কিনেছিল আর বিয়েও করেছিল।  গত ১৬ জুলাই সোনু আর সন্দীপকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। 

সোনু পঞ্জবন মামলার রায় ঘোষণা করতে দিয়ে আদালত বলেছে এদেশে প্রচুর শিশুকে প্রতিবছরই অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যকেই উদ্ধার করা হয়। নাবালিকাদের কখন অপরহণ করে, কখনও আবার বিয়ে করে যৌন ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়। অনেক নাবালিকাকে আবার ভালোবাসার নাম করে ভুলিয়ে নিয়ে আসা হয় অপরাধ জগতে।  আর সেই ভয়ঙ্কর অন্ধকার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় খুব কম সংখ্যক নাবালিকা। 


দিল্লির আদালত সোনু পঞ্জাবনকে বেআইনি যৌন ব্যবসা চালানোর অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে কেনাবেচা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য। 

শুধু সোনু পঞ্জাবন নয়, তার সঙ্গী সন্দীপ বেদওয়ালকেও ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 


 

Share this article
click me!