ফের একবার উশৃঙ্খল জীবনযাপনের উদাহরণ দেখা গেল চোখের সামনে। মদের জোগান কম বলে, বন্ধুকে পাঁচতলা থেকে ফেলে দিল তাঁর সঙ্গীরা।
ফের একবার উশৃঙ্খল জীবনযাপনের উদাহরণ দেখা গেল চোখের সামনে। মদের জোগান কম বলে, বন্ধুকে পাঁচতলা থেকে ফেলে দিল তাঁর সঙ্গীরা।
তাঁর ২৫ বছরের জন্মদিনে, বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করে ডেকেছিলেন নিজের বাড়িতেই। ছিল এলাহি আয়োজন এবং অফুরন্ত খাবার। আর সঙ্গে ছিল মদ। কিন্তু সেই আয়োজনে বোধহয় একটু খামতি থেকে গেছিল। আর তারই মাসুল গুণতে হল নিজের প্রাণ দিয়ে। তাও কার প্রাণ? সেই বার্থডে বয়ের, যিনি ডেকেছিলেন তাঁর বন্ধুদের।
পাঁচতলার উপর থেকে তাঁকে ফেলে দিল সঙ্গীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের অন্তর্গত কল্যাণের চিচড়িপদ গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ জুন রাতে ঘটনাটি ঘটে। ঐ দিন কার্তিক ভয়াল নামের সেই মৃত যুবকের জন্মদিন ছিল। তিনি তাঁর বন্ধু নীলেশ ক্ষীরসাগর, সাগর কেল এবং ধীরজ যাদবকে নিমন্ত্রণ করে ডাকেন তাঁর নিজের বাড়িতে।
পঁচিশ বছরের জন্মদিন পালনের জন্য দেদার মদের আয়োজন করেছিলেন কার্তিক। কারণ, বন্ধুদের সকলেই পছন্দ করতেন মদ। পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, সন্ধ্যে থেকে এমনিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় রাত বাড়তেই।
ততক্ষণে মোটামুটি সকলেই মদ্যপান করে ফেলেছেন। অর্থাৎ, প্রত্যেকেই তখন কমবেশি বেলাগাম। এদিকে মদের জোগান প্রায় ফুরিয়ে এসেছে তখন। চাইলেও আর মদ জোগাড়ের মতো পরিস্থিতি নেই। কিন্তু সেসব কিছুই কানে তোলেননি কার্তিকের বন্ধুরা। তাই তাদের চাহিদা এবং আক্রোশ দুইই বাড়তে শুরু করে। যা শেষপর্যন্ত গড়ায় বচসাতে। পরে শুরু হয় হাতাহাতি।
পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দীতে তিন বন্ধু স্বীকার করেন যে, ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কার্তিক। কিন্তু তাঁকে সেই সময় ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে তোলে তারা। তারপর তিনজন মিলে টেনে হিঁচড়ে ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে আসে। এরপর কার্তিককে ব্যালকনিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মদ জোগাড় না করে কেন কার্তিক ঘুমিয়ে পড়েছে? সেই ঔদ্ধত্য মেনে নিতে পারেনি তাঁর বন্ধুরা। তাই ব্যালকনি থেকে সোজা নিচে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশের কথায়, দেহ উদ্ধারের সময় কার্তিকের শরীরের একাধিক অঙ্গে গুরুতর আঘাত লক্ষ্য করা যায়। বিপুল রক্তক্ষরণও হয় তাঁর। কার্তিকের পরিবার পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।