তাঁর বাবাকে সন্ত্রাসবাদী বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। বিজেপি-র এই আক্রমণের জবাবে এবার মুখ খুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে হর্ষিতা। তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি এই সমস্ত অপমানের জবাব পাবেন বিজেপি নেতারা।
বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মা নির্বাচনী প্রচারে কেজরিওয়ালকে সন্ত্রাসবাদী বলে আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, শাহিনবাগে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে মদত দিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। প্রবেশ ভার্মার এই মন্তব্যের সমর্থন ভোট প্রচারে অন্যান্য বিজেপি নেতাদের কথাতেও উঠে এসেছে। এমন কী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর সোমবার বলেন, কেজরিওয়াল নিজেকে নৈরাজ্যবাদী বলেন। ফলে নৈরাজ্যবাদী আর সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই।
এই সমস্ত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হর্ষিতা মনে করছেন, রাজনীতিকে আরও তলানিতে নিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। নিম্ন রুচির পরিচয় দিত্থেন তাঁরা। বিজেপি নেতাদের এই সমস্ত অভিযোগের পাল্টা হিসেবে দিল্লির জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার কী কী কাজ করেছে, তা তুলে ধরেছেন হর্ষিতা।
আরও পড়ুন- কতটা হিন্দু তিনি, টিভি শো-তে হনুমান চালিসা গাইলেন কেজরিওয়াল
হর্ষিতা বলেন, 'রাজনীতিকে আরও নিচু স্তরে নিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া কি সন্ত্রাসবাদীদের কাজ? নাকি শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ করা সন্ত্রাসের মধ্যে পড়ে?'
নিজের বাবাকে নিয়ে বলতে গিয়ে কেজরিওয়াল কন্যা বলেন.'আমার বাবা সবসময় সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। ভোর ছ'টার সময় বাবা আমাকে, আমার ভাই, মা, দাদু-ঠাকুমাকে ডেকে তুলে গীতা পাঠ করিয়ে মানবতার পাঠ দিতেন। এগুলো কি সন্ত্রাস?'
দিল্লিতে যে তাঁর বাবার নেতৃত্বেই ফের আপ সরকার ফিরবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হর্ষিতা। বিজেপি-কে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'ওদের যা খুশি বলতে দিন। ২০০ সাংসদ আর ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এসে প্রচার করুক। আমাদের হয়ে দু' কোটি মানুষ প্রচার করছেন। ১১ তারিখে এরাই দেখিয়ে দেবে যে কাজের ভিত্তিতে মানুষ ভোট দেন নাকি মিথ্যে অপবাদের ভিত্তিতে।' আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ১১ ফেব্রুয়ারি।
২০১৫ সালে দিল্লি নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপি-র। ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসনেই জিতেছিল আপ। এ বার দিল্লি দখলে তাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন মোদী- অমিত শাহরা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ সরকারকে চূড়ান্ত আক্রমণ করছেন প্রত্যেকেই।