তাঁর জেএনইউতে যাওয়া নিয়ে এবার খোঁচা দিলেন বাবা রামদেব। সোমবার ইনদোরে কোনও রাখঢাক না-করে সরাসরিই তিনি বললেন, " দীপিকাকে সুপরামর্শ দেওয়ার জন্য় আমার মতো একজনের থাকা দরকার।"
সম্প্রতি জেএনইউতে গিয়ে ঐশী ঘোষদের আন্দোলনে তাঁর সংহতি জানান দীপিকা। তারপরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় হইচই। দীপিকার 'ছপক' বয়কটের ডাক দেয় গেরুয়া শিবিরের একটা বড়় অংশ। স্মৃতি ইরানি দীপিকার রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চেয়ে বলেন, দীপিকা কংগ্রেসের সমর্থক। অন্য়দিকে নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশ দীপিকার সমর্থনে এগিয়ে আসে। জেএনইউতে যাওয়া নিয়ে দীপিকার সাহসকে কুর্নিশ করে তারা। আর এরই মধ্য়ে মুক্তি দীপিকার নতুন ছবি 'ছপাক'।
এই পরিস্থিতিতে যোগগুরু রামদেবের এই মন্তব্য়কে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ নিয়ে এর আগে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে আসরে নেমেছিলেন সদগুরু। তাতে করে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছিলেন ওই সাধু। এরপর, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে না-হলেও জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ নিতেই দীপিকার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রামদেব, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সোমবার ইনদোরে রামদেব বলেন," প্রথমে দীপিকার উচিত দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা। তারপর এই ধরনের বড়সড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।" বলাই বাহুল্য়, এখানে 'বড়সড়' বিষয় বলতে জেএনইউতে গিয়ে ঐশী ঘোষদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোকেই বুঝিয়েছেন যোগগুরু। শুধু তা-ই নয়, সেইসঙ্গে অভিনেত্রীর প্রতি রামদেবের উপদেশ, " দীপিকার দরকার আমার মতো একজনকে, যে ওকে সৎ পরামর্শ দেবে।"
গত ৫ জানুয়ারি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয়ে মুখোশ পরে হাতে হকির স্টিক আর লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। যাতে গুরুতর আহত হন ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষ ও অধ্য়াপক সুচরিতা সেন। তাঁদেরকে এইমসে ভরতি করতে হয়। ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, ওই মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা এবিভিপি-র সদস্য। অন্য়দিকে এবিভিপি-ও পাল্টা অভিযোগ তোলে বাম ছাত্রদের দিকে। এমতাবস্থায়, গত বুধবার জেএনইউতে গিয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সমর্থন জানান দীপিকা। তারপরই দীপিকাকে বয়কটের ডাক দেয় গেরুয়া শিবিরে একাংশ। ওই সময়ে তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'ছপাক' বয়কটের ডাক দেওয়া নিয়ে তোলপাড় হয় দেশজুড়ে। অনেকেই দীপিকার সাহসের প্রশংসা করেন। এদিকে এরই মধ্য়ে মুক্তি পায়'ছপাক' আর মুক্তির সঙ্গেসঙ্গেই বক্স অফিসে কার্যত ঝড় তোলে।