
আবারও অ্যাসিড হামলা। এবার জাতীয় রাজধানীতে। ছুটির দিন, রবিবার সকালে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির অশোক বিহার এলাকায় লক্ষ্মীবাই কলেজের কাছে অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত ২১ বছর বয়সী এক তরুণী। তরুণী অ্য়াসিড হামলায় দগ্ধ হন। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে, যখন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের (নন-কলেজ) ওই ছাত্রী একটি অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য কলেজের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
সংবাদ সংস্থা ANI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, "আজ, দীপ চাঁদ বন্ধু হাসপাতাল থেকে অ্যাসিডে দগ্ধ ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর ভর্তির বিষয়ে একটি ফোন আসে। ওই তরুণী জানিয়েছেন যে তিনি দ্বিতীয় বর্ষের (নন-কলেজ) ছাত্রী এবং অশোক বিহারের লক্ষ্মীবাই কলেজে তার ওপর হামলা চালায়। অভিযুক্তকে উত্যক্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে
পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে মুকুন্দপুরের বাসিন্দা জিতেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আক্রান্ত মহিলার দাবি বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে উত্যক্ত করেছে। পুলিশও তদন্তে নেমে জেনেছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই তরুণীকে উত্যক্ত করছিল বলে জানা গেছে। তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, জিতেন্দ্র তার দুই বন্ধু ইশান ও আরমানের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলে আসে। "ইশান আরমানের হাতে একটি বোতল তুলে দেয়, এবং আরমান আমার দিকে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে," ওই তরুণী পুলিশকে জানান। তিনি তার মুখ বাঁচাতে পারলেও দুই হাতে পুড়ে যান। পুলিশি তদন্ত এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি
দীপ চাঁদ বন্ধু হাসপাতাল থেকে আহত তরুণীর ভর্তির বিষয়ে পুলিশ একটি ফোন পায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (FSL)-এর দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। "তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে," এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
"আজ, দীপ চাঁদ বন্ধু হাসপাতাল থেকে অ্যাসিডে দগ্ধ ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর ভর্তির বিষয়ে একটি ফোন আসে। ওই তরুণী জানিয়েছেন যে তিনি দ্বিতীয় বর্ষের (নন-কলেজ) ছাত্রী এবং অশোক বিহারের লক্ষ্মীবাই কলেজে তার ক্লাসের জন্য গিয়েছিলেন। তিনি যখন কলেজের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন তার পরিচিত মুকুন্দপুরের বাসিন্দা জিতেন্দ্র তার সহযোগী ইশান ও আরমানের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলে আসে। অভিযোগ, ইশান আরমানের হাতে একটি বোতল তুলে দেয়, যে তার উপর অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। ওই তরুণী তার মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও দুই হাতে আঘাত পান। অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই তরুণী আরও জানান যে জিতেন্দ্র তাকে উত্যক্ত করত এবং প্রায় এক মাস আগে তাদের মধ্যে তীব্র বচসা হয়েছিল। ক্রাইম টিম এবং এফএসএল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তার বয়ান এবং আঘাতের ধরনের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে," কর্মকর্তারা এএনআই-কে জানিয়েছেন।
ছাত্রীটি আরএমএল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং বর্তমানে বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে। পুলিশের মতে, প্রায় এক মাস আগে জিতেন্দ্র এবং ওই তরুণীর মধ্যে একটি ঝগড়া হয়েছিল, যার পর থেকে সে তাকে অনুসরণ করতে শুরু করে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে যে সে আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল কিনা।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। দিল্লি মহিলা কমিশন (DCW) এই মামলায় পুলিশের কাছে একটি রিপোর্ট চাইবে এবং নির্যাতিতা যাতে সঠিক চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা পায় তা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।