বিস্ফোরণে কাঁপত ভারত, দুবাইয়ের নিরাপদ স্থানে বসে দেখত- এমনই ছক ছিল মহিলা চিকিৎসক শাহিনের

Published : Nov 15, 2025, 11:18 AM IST
Doctor Shaheen

সংক্ষিপ্ত

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী মহিলা চিকিৎসক শাহিন শহিদ ভারত ছেড়়ে দুবাই পালানোর ছক কষেছিল। 

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই সামনে আসছে হাড়হিম করা তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী মহিলা চিকিৎসক শাহিন শহিদ ভারত ছেড়়ে দুবাই পালানোর ছক কষেছিল। শাহিন ইতিমধ্যেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিল। তার সঙ্গীসাথীরা যখন ভারতে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটাত সেই সময় শাহিন দুবাইয়ের কোনও নিরাপদ জায়গায় বসে থাকত। তেমনই পরিকল্পনা প্রায় পাকা করে ফেলেছিল।

কিন্তু ফরিদাবাদ, সাহারানপুর, ফরিদাবাদে একের পর জঙ্গি গ্রেফতার হয়। তাতেই ডাক্তারদের মডিউলের পর্দাফাঁসহয়। পুলিশ শাহিনের পালানোর ছক বানচাল করে দিয়ে আগেই পাকড়াও করে।

শাহিনকে গ্রেফতার

৩০ অক্টোবর তদন্তকারীরা গ্রেফতার করেছিল চিকিৎসক মুজাম্মিলকে। তাকে লাগাতার জেরা করা হয়। পাশাপাশি শাহিনের সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে ব্যবহার করতে দেখা যায় শাহিনকে। তদন্তকারীদের সন্দেহ হত। তখনই শাহিন ফাঁদে পড়ে পুলিশের। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অ্যাসল্ট রাইফেল। পুলিশও চিকিৎসকদের মডিউলের সঙ্গে শাহিনের যোগসূত্র খুঁজে পায়।

পালানোর ছক

সূত্রের খবর, শাহিন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিল। ফরিদাবাবাদ একজন পুলিশ সদস্য ৩ নভেম্বর আল ফালাহ ক্যাম্পাসে দেখা যায়। সেই ব্যক্তি শাহিনের সঙ্গে দেখা করতে এসিছেল। যদিও সেই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চলছে। কিন্তু শাহিনকে ১১ নভেম্বর লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

৯ নভেম্বর ফরিবাদাদ থেকে দুটি ভাড়া করা জায়গা থেকে প্রায় ৩০০০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার হয়। শাহিনের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র। তাতেই পুলিশের নজরে পড়ে চিকিৎসক শাহিন।

শাহীন সম্পর্কে তথ্য

স্থানীয় সূত্রের খবর, শাহীন শাহিদ লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা। ফরিদাবাদে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি মডিউল ফাঁস হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অ্যাসল্ট রাইফেল। শাহীন আল-ফালাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎস যারা ফরিদাবাদ-কাণ্ডে যুক্ত। বিস্ফোরক-সহ ধৃত মুজাম্মিলের সঙ্গে শাহিনের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।

অপারেশন সিঁদুরের সময়ই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে। তাদের সংগঠনের বহু সদস্য নিহত হয়েছে। কিন্তু তারপরই জঙ্গি সংগঠনটি নতুন ভাবে দাঁড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার কারণে মহিলা শাখার ওপর জোর দিচ্ছে।। অক্টোবরেই জামাত-উল-মোমিনাত নামে মহিলা শাখা গঠনের কথা বলেছে। তবে সেই সংগঠনের সঙ্গে ভারতের এই ধৃতদের কতটা যোগ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

News Round Up: মোদীর রানাঘাটে জনসভা থেকে নানুরে তৃণমূল বুথ সভাপতি খুন- সারা দিনের খবর এক ক্লিকে
Babri Masjid Bengal : কেউ পক্ষে, কেউ সরব নিন্দায়! বঙ্গে বাবরি মসজিদ নিয়ে ফাটল খোদ মুসলিম সমাজেই!