আবার শিরোনামে শাহিনবাগ। এবার সেখানে অস্ত্র নিয়ে আস্ফালন করায় এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের দক্ষিণ-পূর্ব জেলার ডিসিপি চিন্ময় বিশাল সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, "আমরা একটা এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। ভিডিয়োটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ভিসুয়ালসগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দুকের মালিককে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে।"
কী ঘটেছিল?
শাহিনবাগের সভায় সম্প্রতি একজন বন্দুক নিয়ে গিয়ে কার্যত ভয় দেখান অবস্থানকারীদের। তাঁকে নাকি বলতে শোনা যায়, অ্য়াম্বুলেন্স ও স্কুল গাড়ির জন্য় জায়গা খালি করে দিক বিক্ষোভকারীরা। বন্দুকের মালিকের নাম লক্ষণ চৌধুরি। যদিও অন্য় একজন ওই বন্দুক হাতে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়েছিলেন সেখানে। বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৬ ধারা ও ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়ছে। তবে, একজনের বন্দুক আরেকজনের হাতে পৌঁছল কী করে আর তা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে কেন শাহিনবাগে আস্ফালন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। যার জেরে কালিন্দী কুঞ্জ রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ অন্য় জায়গা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দিয়েছে। গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, আদালত যথাযথ নির্দেশ দিক যাতে করে পুলিশ কালিন্দী কুঞ্জ থেকে শাহিনবাগ পর্যন্ত রাস্তা যান চলাচলের জন্য় উন্মুক্ত করতে পারে।
দিল্লিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও রাস্তা জুড়ে এই বিক্ষোভকে কেজরিবালের বিরুদ্ধে ইস্য়ু করে তুলেছে বিজেপি। যদিও বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য়, তাঁদের অবস্থানের ফলে অ্য়াম্বুলেন্স যাতায়াতের কোনও সমস্য়া হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে দিলীপ ঘোষের সভায় আটকে পড়ে প্রসূতির অ্য়াম্বুলেন্স, সেখানে কিন্তু শাহিনবাগে তা অনায়াসেই বেরিয়ে যেতে পারে।