ইতিমধ্যেই নগরের ৫০টি স্থানে ৩,৪০০-এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আধিকারিকদের মতে, সকাল থেকে জলাবদ্ধতা ছিল, যার ফলে শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল
টানা দু'দিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজধানি। নাগারে বৃষ্টির জেরে জল জমেছে শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই নগরের ৫০টি স্থানে ৩,৪০০-এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আধিকারিকদের মতে, সকাল থেকে জলাবদ্ধতা ছিল, যার ফলে শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল এবং ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম যানজট, গাছ উপড়ে ফেলা, গর্ত এবং সিগন্যাল কাজ না করার অভিযোগ পেয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশের সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে যে চারটি প্রধান স্থানে গর্ত রয়েছে - বগ্গা গোলচত্বর, আম্বেদকর রোডে, রেল ভবন থেকে রাইসিনা রোডের উইন্ডসর প্লেস এবং অরবিন্দ মার্গের অধচিনি।
দিল্লির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চাণক্যপুরী, ভারতী নগর-সহ একাধিক কলোনি প্লাবিত। উল্লেখ্য এই অঞ্চলগুলিতে একাধিক ভিভিআইপি আবাসন রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে রবিবার গত ৪১ বছরের রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং জলাবদ্ধতার কারণে, নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল (এনডিএমসি) নিচতলায় বসবাসরত সিনিয়র আমলাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শেষ হওয়া ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে, দিল্লিতে ১৫৩ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১৯৮২ সালের পর জুলাই মাসে সর্বোচ্চ এক দিনের বৃষ্টিপাত হিসাবে চিহ্নিত করেছে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD)। মৌসুমি বায়ুর দাপটে ভারতের রাজধানীর হাল এখন অনেকটা সমুদ্রের মতোই। রাস্তায় বেরোলেই বিশাল বিশাল ঢেউ, তার ওপরে বৃষ্টির কমতি নেই। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, শনিবার শুধুমাত্র সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা অবধি, অর্থাৎ মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২১.৪ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৫৩ মিলিমিটার।