
দিল্লির কাছে ফরিদাবাদে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এবার উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার এক মহিলা চিকিৎসক। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর মহিলার হাতেই ছিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ বা JEM-এর মহিলা শাখা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ফরিদাবাদকাণ্ডে তদন্তে নেমেই উত্তরপ্রদেশের এই চিকিৎসকের সন্ধান পায় তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতের নাম শাহীন শাহিদ। তাঁকে জইশের ভারতীয় মহিলা শাখার দায়িত্ব দেওযা হয়েছিল। পাকিস্তানে জইশের মহিলা শাখার মূল দায়িত্বে রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার। সাদিয়ার স্বামী ইউসুফ কান্দাহার বিমান ছিনতাই-এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিল। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের সময় নিহত হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শাহীন শাহিদ লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা। ফরিদাবাদে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি মডিউল ফাঁস হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অ্যাসল্ট রাইফেল। শাহীন আল-ফালাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎস যারা ফরিদাবাদ-কাণ্ডে যুক্ত। বিস্ফোরক-সহ ধৃত মুজাম্মিলের সঙ্গে শাহিনের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।
অপারেশন সিঁদুরের সময়ই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে। তাদের সংগঠনের বহু সদস্য নিহত হয়েছে। কিন্তু তারপরই জঙ্গি সংগঠনটি নতুন ভাবে দাঁড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার কারণে মহিলা শাখার ওপর জোর দিচ্ছে।। অক্টোবরেই জামাত-উল-মোমিনাত নামে মহিলা শাখা গঠনের কথা বলেছে। তবে সেই সংগঠনের সঙ্গে ভারতের এই ধৃতদের কতটা যোগ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।