ভারতীয় নৌবাহিনীতে ইতিহাস গড়লেন সাব লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ত্যাগী ও সাব লেফটেন্যান্ট রীতি সিং।যুদ্ধ জাহাজের কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হল তাঁদের। যা ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাসে প্রথমবার। এর আগে নৌবাহিনীর বিভিন্ন পদে মহিলাদের নিয়োগ করা হত। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধ জাহাজে তাঁদের নিয়োগ করা হত না। এবার সেই বাঁধাও টপকে গেলেন দুই সাহসিনী।
পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জীবনের বিভিন্নক্ষেত্রে লড়াই করছেন মহিলারা। ঘর থেকে অফিস, সবই সামলাচ্ছেন দশভুজার মত। তবে ়সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ থেকে পিছিয়ে ছিল নারীশক্তি। বছর চারেক আগেই যুদ্ধবিমান ওড়ানোর ক্ষেত্রে সেই বাধা কেটেছে। এবার ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজেওনিজেদের সাফল্যের চিহ্ন রাখলেন কুমুদিনী ও রীতি। প্রথমবার যুদ্ধজাহাজের কর্মী হলেন তাঁরা। পাশাপাশি রাফালে ওড়াতেও এক মহিলা পাইলটকে গোল্ডেন অ্যারোজ স্কোয়াড্রনে যুক্ত করা হয়েছে।
কুমুদিনী ও রীতি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে জানা গিয়েছে। শীঘ্র হয়তো হেলিকপ্টার চালাতেও দেখা যাবে দু’জনকে। আগে মনে করা হত, নৌবাহিনীর জাহাজে মহিলাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থাকবে না। ক্রু কোয়ার্টারে মহিলাদের জন্য আলাদা কোনও শৌচাগার না থাকায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই তাঁদের যুদ্ধজাহাজে নিয়োগ করা হত না। তবে সাব লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ত্যাগী ও সাব লেফটেন্যান্ট রীতি সিং এই দুই তরুণী অফিসারের হাত ধরেই পরিবর্তন হল নৌসেনার। এই দুই নৌসেনা আধিকারিক নতুন এমএইচ-৬০ আর হেলিকপ্টারগুলি চালাবেন। এই এমএইচ-৬০ আর হেলিকপ্টারগুলি শত্রু জাহাজ বা সাবমেরিন চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে স্বভাবতই উচ্ছসিত ব লেফটেন্যান্ট রীতি সিং। তিনি জানান , " নৌসেনার সমস্ত অস্ত্র এবং কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ, বিমানের সেন্সরগুলি আমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া, শত্রুদের মনোনীত করা এবং লক্ষ্যগুলি চিহ্নিত করা আমার কাজ হবে।"
ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রশংসা করে কুমুদিনী ত্যাগি বলেন, বাহিনী তার ক্যাডেটদের এমনভাবে তৈরি করে যে প্রত্যেকে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকে। কুমুদিনী যোগ করেন, তাঁর সিনিয়ররা তাকে কখনই অনুভব করতে দেননি যে বাহিনীতে লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্য রয়েছে।