রাত পোহালেই ফলাফল। ইভিএম-ই বলে দেবে গত পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রীর পরীক্ষায় কতটা সফল তিনি। মানুষের আস্থা কতটা অর্জন করতে পেরেছেন। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল অবশ্য বলছে হাসতে হাসতেই ফের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে আসিন হবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, এমনকী শিবসেনাকে ছাড়া একাই এই রাজ্যে সরকার গড়ার মতো জায়গায় পৌঁছে যাবে বিজেপি। কিন্তু তাও ভোচটের ফল বের হওয়ার আগে রাজনৈতিক নেতারা চাপে থাকেন বৈকি। আর এই চাপ কাটাতে ফড়নবিশ বেথে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পথই।
লোকসভার ভোটগ্রহণের পর ফল বের হওয়ার ঠিক আগে হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান কেদারনাথে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-কে। কেদারের এক নির্জন গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল মোদীকে। এইবার সেই একই স্থানে দেখা গেল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে।
মোদীর মতো ধ্যান করেননি ফড়নবিশ। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এদিন সস্ত্রীক কেদারনাথের গিয়ে পুজো দেন। সেই ভ্রমনের বেশ কয়েকটি ছবি তুলে ফড়নবিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, কেদারনাথের দর্শন করে তিনি তাঁর কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়েছেন।
গত ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনে ও হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই দুই রাজ্য়ের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রে ২২২টি আসনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়বে বিজেপি। তাঁর মতো অতটা না হলেও প্রায় প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষা দুই রাজ্যেই বিজেপির বড় জয়ের আভাস দিয়েছে।