যাত্রী সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে বৃহত্তম। এবার সেই বিমান সংস্থায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। বিমান পরিষেবা স্থগিতের জেরে দেশজুড়ে ব্যাহত বিমান চলাচল। সমস্যায় কয়েক হাজার যাত্রী। জটিল এই পরিস্থিতি এবার একবারের জন্য বেসরকারি বিমান পরিবহন এই সংস্থাকে ছাড় দিলো কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বা ডিজিসিএ। জানা গিয়েছে, ডিজিসিএ-র তরফে বিমান পরিষেবা পাইলট ও ক্রুদের রস্টারের কয়েকটি নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এমনকি বেশকিছু বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়েছে।
25
কাজের রস্টার নিয়ে ডিজিসিএ-র বড় আপডেট
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন অসামরিক বিমান পরিবহন বা ডিজিসিএ ২০২৪ সালে ইন্ডিগোর কর্মী ও পাইলটদের জন্য কাজের সময়ের মেয়াদ বেঁধে দিয়েছিল। সেই সময় পাইলটদের জন্য ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামের বিধি প্রকাশ করা হয়। সেই বছরেরই জুন মাসে ওই বিধি কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু ইন্ডিগো-সহ অন্য বিমান সংস্থাগুলির আপত্তিতেই তা বহু দিন কার্যকর করা যায়নি। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই শ্রমবিধি কার্যকর করার পরেই বিপর্যস্ত হয় ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। কর্মী অপ্রতুলতাই এই সঙ্কটের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ নয়া বিধিতে কোনও পাইলট বা বিমানকর্মীকে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজে রাখা (অন ডিউটি) রাখা যাবে না। আর তার জেরেই এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
35
একের পর এক বাতিল ইন্ডিগো-র বিমান
শুক্রবার দেশজুড়ে ৬০০-রও ওপরে বাতিল করে দেওয়া হয় ইন্ডিগো-র বিমান। যার জেরে গন্তব্যে যেতে সমস্যায় পড়েন কয়েক লক্ষ যাত্রী। সূত্রের খবর, রাত ১২টা পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর থেকে উড়বে না ইন্ডিগোর কোনও বিমান। এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে। যার জেরে বিমান বন্দরেই রাত কাটাতে হয়েছে বহু যাত্রীকে
অন্যদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানববন্দর থেকেও ইন্ডিগোর কোনও বিমান ছাড়বে না। বৃহস্পতিবার সারা দিনে মোট ৫৫০টি বিমান বাতিল করেছিল ইন্ডিগো। চলতি অব্যবস্থার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীদের কাছে আরও একবার ক্ষমাও চায় তারা। তবে তাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমেনি।
55
কী বলছে কর্তৃপক্ষ?
যদিও এই অব্যবস্থার জন্য ইন্ডিগো-র তরফে দুঃখপ্রকাশ করা হলেও বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, একের পর এক বিমান বাতিল করা হলেও যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা থাকার জন্য কোনও রকম ব্যবস্থা করেনি ইন্ডিগো বিমান সংস্থা। ফলে উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে।