
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যা দেখে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা। ভিডিওটি একটি সারমেয়কে একটি গাড়ির সঙ্গে চেন দিয়ে বাঁধা রয়েছে। তীব্র গতিতে ছুটছে গাড়িটি। অনেকেই দাবি করেছে এই কীর্তি রাজস্থানের এক চিকিৎসকের। কারণ তিনি চালকের আসনে বসে ছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকার ছবিটি পোস্ট করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রবিবার রাজস্থানের যোধপুরে এটি শ্যুট করা হয়েছিল। ড্রাইভার একজন চিকিৎসক। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে চেন দিয়ে বাঁধা অবস্থায় সারমেয়কে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গাড়িটি। ভিডিওটির তীব্র নিন্দা করেছেন পশুপ্রেমীরা । চিকিৎসকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।
ঘটনাটি একটি ব্যস্ত রাস্তায় ঘটেছে যেখানে আরও বেশ কয়েকটি যানবাহনও দেখা যায়। লম্বা দড়ির কারণে কুকুরটিকে বিপজ্জনকভাবে গাড়ির একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে দেখা যায়, যা তার জীবনকে বিপদে ফেলে। পরে অবশ্য স্থানীয়রা জড়ো হয়ে কুকুরটিকে মুক্ত করে। তারাই খবর দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়। সারমেয়টিকে পশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডোগ হোম ফাইন্ডেশনের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে চিকিৎসকের নাম রজনীশ গালওয়া। কুকুরটি তাঁর বাড়ির কাছে রাস্তাতেই থাকে। সেটিকে তিনি বাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাই রাস্তা দিয়ে গাড়িতে বেঁধে ঘোরাচ্ছিলেন। তবে নেটিজেনরা এই ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্য়ক্তি জানিয়েছেন, চিকিৎসেক বেআকেলের জন্য় কুকুরটির একটি পা ভেঙে গেছে। পাশাপাশি যোধপুর প্রশাসনের কাছেও তাঁরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। অনেকে আবার চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল করার দাবি করেছেন। এক ব্যক্তি লিখেছেন চিকিৎস কখনই এত নির্দয় হতে পারে না। এটি লজ্জাজনক ঘটনা। চিকিৎসকরে সকলেই হৃদয়হীন বলেও দাবি করেছেন।
অন্যদিকে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন পশি নিষ্ঠুরতা আইনের অধীনে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করেছে।