বুধবার সারা দিনের টানটান উত্তেজনার পর রাতে বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপরই তাঁর পুত্র কার্তি চিদম্বরম পুরো ঘটনাটিকে তদন্ত সংস্থার তৈরি 'নাটক ও প্রদর্শনী' বললেন। তাঁর মতে এই নাটক তৈরি করা হয়েছে 'কিছু লোকের চোখকে আরম' দিতে। এর পাশাপাশি তাঁর বাবার পাশে থাকার জন্য তিনি কংগ্রেস দলকে ও দলের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বের হওয়ার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। মাঝ পথে গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন, ফোনও ছিল বন্ধ। সারা দিনের পর রাত আটটা নাগাদ তিনি নয়াদিল্লির কংগ্রেস সদর দফতরে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাড়ি ফিরে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই পরপর তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই ও ইডির দুটি দল। সিবিআই এবং ইডি কর্তাদের দেখা যায় তাঁকে গ্রেফতারের জন্য তাঁর জোড়বাগের বাড়ির প্রাচীর টপকাতে।
এরপরই টুইট করে কার্তি বলেন, তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই নাটক এবং প্রদর্শনি তৈরি করল বিষয়টিকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলে কিছু লোকের চোখের আরামকে সন্তুষ্ট করতে। আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, কংগ্রেস দল, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি, সলমন খুরশিদরা যেভাবে তাঁর বাবার প্রতি সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সবসময় যেভাবে তাঁদের পাশে থেকেছেন, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।
আরও এক টুইটে তিনি আইএনএক্স মামলার বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনা যা ঘটার ঘটেছিল ২০০৮ সালে। আর এফআইআর দায়ের করা হয় ২০১০ সালে। তারপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ৪ বার অভিযান চালানো হয়েছে। ২০ বারেরও বেশি তদন্তের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে, এবং প্রত্যেকবারই তিনি হাজির হয়েছিলেন। প্রত্যেকবার অন্তত ১০ থেকে ১২ ঘন্টা করে জেরা করা হয়েছে। ১২ দিনের জন্য সিবিআইয়ের 'অতিথি'-ও হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও চার্জশিট পেশ করা হয়নি।
তাঁর বাবাকেও যখনই ডাকা হয়েছে তিনি ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন কার্তি। তাঁর মতে এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনা। সাংবাদিকরা কারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চাইছে প্রশ্ন করায় তিনি স্পষ্টভাবে আঙুল তুলেছেন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের দিকে। বলেছেন, 'আর কে করতে পারে? ডোনাল্ড ট্রাম্প?' তবে আদালতে ন্য়ায় বিচার পাবেন বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।