DRDO-র ক্রিম থেকে হিম তাপক, প্রবল শীতেও চিনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করবে ভারতীয়দের

  • চিনের পাশাপাশি শীতের সঙ্গে লড়াই ভারতীয়দের 
  • সেনা জওয়ানদের পাশে ডিআরডিও 
  • তৈরি একগুচ্ছ সামগ্রী
  • সাহায্য করবে শীতের সঙ্গে লড়াইয়ে 
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 10, 2021 12:41 PM IST

পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনের সঙ্গে চলমান সংঘাত আর অস্থিরতার কারণে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়ন রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় জওয়ান। সীমান্ত রক্ষা আর দেশের নিরাপত্তার কারণে প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় জওয়ানরা। প্রবল ঠান্ডায় ভারতীয় জওয়ানদের সুবিধের জন্য একাধিক সামগ্রী তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। একটি হল হিম তাপক যেটি সেনা জওয়ানদের গরম রাখতে সাহায্য করবে। অন্যটি হল স্নো মেলটারস- এটি বরফ গলাতে সাহায্য করবে। তৈরি করেছে ক্রিম ও বিশেষ জলের বোতলও। 

পূর্ব লাদাখ, সিয়াচেনসহ একাধিক অতি উচ্চতায় মোতায়োন ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানদের জন্য হিম তাপক নামের স্পেস হিটিং ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই জাতীয় সামগ্রী তৈরির জন্য ডিআরডিওকে ৪২০ কোটি টাকার বরাতও দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার প্রধান রাজীব বর্ষনী জানিয়েছেন।তিনি আরও বলেছেন অত্যাধুনিক এই যন্ত্রটি ব্ল্যাকব্লাস্ট ও কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া থেকে জওয়ানদের  কোনও ক্ষতি করবে না। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির এই যন্ত্রটিকে তেলের খরচ অনেকটাই কমে যাবে। 

ডিআইপিএস নামের একটি ক্রিমও তৈরি করেছে ডিআরডিও। যে অ্যালোকাল ক্রিমটি চরম ও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মানুষের কার্যকারিতা বাড়াতে শরীরবৃত্তীয় ও জৈব চিকিৎসা গবেষণা পরিচালনা করাতে সক্ষম। প্রবল ঠান্ডা আর তুষারপাতের কারণে তৈরি হওয়া ক্ষত সারাতে এই ক্রিমটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও দাবি করা হয়েছে। ডিআরডিও হিমায়িত তাপমাত্রায় পাণীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নমনীয় জলের বোতল ও সোলার স্নো সেল্টার তৈরি করেছে। এটি মূলত কাজে লাগবে লাদাখ আর সিয়াচেনে মোতায়েত থাকা সেনা জওয়ানদের।  হিমাঙ্কের ৫০-১০০ ডিগ্রি নিয়ে তাপমাত্রাতেই বোতলের ভিতরে রাখা পানীয় জন সাধারণ তাপমাত্রায় থাকবে।  ডিআরডিও-র প্রধান জানিয়েছে ইন্দো-টিবেটিয়ান সেনা বাহিনীর ছাউনিগুলিতে তাদের তৈরি হিম তাপক যন্ত্রগুলি বসানো হবে। 

পূর্ব লাদাখ ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে পাণীয় জলের সমস্যা সমাধেনের জন্য সিটায়েন আর খারদুংলা ও তাওয়াং অঞ্চলে পরীক্ষার জন্য আগেই স্নো মেল্টার সরবরাহ করা হয়েছিল। সেটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন তাঁদের তৈরি স্নোমেল্টার ঘণ্টায় ৫-৭ লিটার পাণীজ জল সরবরাহ করতে সক্ষণ। 

Share this article
click me!