১০০-২০০ রাউন্ড গুলি চলেছিল প্যাংগং-এ, ভারতকে পোস্ট তৈরিতে বাধা লাল ফৌজের

  • প্যাংগং দখলে মরিয়া চিন 
  • রুখে দিতে সক্ষম হয় ভারত
  • ১০০ রাউন্ডেরও বেশি গুলি চলে 
  • ব্যবহার করা হয় আর্টিলারি
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 16, 2020 6:11 AM IST

সেপ্টেম্বরের শুরুতেই প্যাংগং দখলের উদ্দেশ্যে  চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা আবারও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা রুখে দিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর সেই সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০০-২০০ রাউন্ড সতর্কতামূলক গুলি চলেছিল। চিনা সেনাদের উপেক্ষা করে ভারত যখন নিজের এলাকায় একটি পোস্ট তৈরি করছিল তখনই বাধা দেয় চিন। চড়াও হওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয়। সেই সময়ই ভারত চিন দুই দেশই একে অপরে রুখতে সতর্কতামূল গুলি চালায়।   ভারতীয়দের কৌশলগত উচ্চ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রীতিমত মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছিল চিন। কিন্তু এখনও প্যাংগং-এর তিন আর চার নম্বর ফিঙ্গার এলাকার দখল এখনও নিজেদের হাতে রেখেছে ভারত।

একটি সূত্র বলছে ২৯-৩১ অগাস্ট প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় যে গুলি চলেছিল তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল হালকা মেশিনগান আর অ্যাসল্ট রাইফেল। বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা একদমই মানছে না চিন। কারণ চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। একই সঙ্গে অধিক পরিমাণে সেনাও মজুত করতে পারবে না কোনও দেশ। কিন্তু সেই সব নিয়মনীতিকে আগেই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে চিন। তাই চিনা আগ্রাসন প্রতিহত করতে ভারতও সেই পথে হেঁটেছে। কিন্তু সূত্রটি বলছে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হলেও এখনও পর্যন্ত প্যাংগং-এর উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে একদমই উত্তেজনা কমেনি।

সেনা সূত্রে জানা গেছে প্যাংগংএর দক্ষিণ প্রান্তে শক্তি বাড়িয়েছিল ভারত। একাধিক জায়গায়া রীতিমত টক্কর দিয়েছিল চিনা সেনাদের। তাই প্রতিশোধ নিতে প্যাংগং-এর উত্তর প্রান্তে তৎপরতা বাড়িয়েছিল চিন। তৈরি হয়েছিল একাধিক তাঁবু। কিন্তু চিনের অগ্রাসন রুখতে উদ্যোগ নেয় ভারতীয় সেনা। গত ৮ সেপ্টেম্বর লাল ফৌজ ভারতের বেশ কয়েকটি ফরোয়ার্ড এলাকার কাছাকাছি চলে আসে। কয়েকটি জায়গায় ভারতীয় জওয়ানদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিল।  তারও যোগ্য জবাব দিয়েছি ভারত। সেই সময়ও সতর্কতা মূলক গুলি চলেছিল প্যাংগং-এর। সূত্রটি বলছে চিন ও ভারত উভয় পক্ষই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। 


মঙ্গলবারই সংসদে বিবৃতি দেওয়ার সময় রাজনাথ সিং বলেছিলেন, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা এলাকায় রীতিমত সহিংস অবস্থান করছে চিনা সেনা। তুলনায় ভারতীয় সেনারা এখনও পর্যন্ত সংযম বজায় রেখেছে। তবে প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ ভারত। চিনা সেনার আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রয়োজনে বীরত্ব প্রদর্শনেও পিছপা হচ্ছে না। তবে লাদাখে যে ভারতের তুলনায় বর্তমানে চিন কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছে মার্কনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রথম সারির ম্য়াগাজিন।

Share this article
click me!