
Earthquakes: গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মণিপুর, পাশাপাশি মেঘালয়ের একাধিক এলাকা। এমনকী ভূকম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশেও। তবে, এখনও পর্যন্ত মেলেনি কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর। বুধবার ভোর রাতে এক নয়, দুবার কম্পন অনুভূত হয়। কম্পন হয়েছিল চূড়াচাঁদপুর এবং নোনিতে। জানা গিয়েছে, রিখটা স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২ এবং ২.৫।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বা জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পনের উৎসস্থল ছিল মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলা। রাত ১টা ৫৪ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০ কিমি নীচে কম্পন হয়েছিল বলে খবর।
X হ্যান্ডেলের এখটি বিবৃতিতে এমসিএস জানিয়েছে, ‘EQ of M: ৫.২, তারিখ ২৮,৫,২০২৫। ০১.৫৪.২৯ ভারতীয় সময়, অক্ষাংশ: ২৪.৪৬ উত্তর, দৈর্ঘ্য ৯৩.৭০ পূর্ব, গভীরতা: ৪০ কিমি, অবস্থান চুরাচাঁদপুর, মণিপুর।’
মঙ্গলবার রাত ১টা ৫৪ মিনিটে হঠাৎ কেঁপে ওঠে মণিপুর ও আশেপাশের এলাকা। এমনকী এই কম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশেও। রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।
তেমনই মণিপুরের নোনিতে ভূমিকম্প হয়েছে। বুধবার মণিপুরের নোনিতে রিখটার স্কেলে ২.৫ মাত্কার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, ভোর ২.২৬ মিনিটে সেখানে কম্পন হয়েছিল। X হ্যান্ডেলের এখটি বিবৃতিতে এমসিএস জানিয়েছে, ‘ সমান দৈর্ঘ্য- ২.৫, তারিখ ২৮,৫,২০২৫। ০২:২৬:১০ ভারতীয় সময়, অক্ষাংশ : ২৪.৫৩ উত্তপ, দৈর্ঘ্য: ৯৩.৫০ পূর্ব, গভীরতা: ২৫ কিমি, অবস্থান : নোনয় মণিপুর।
একই দিনে পর পর দুবার কম্পন অনুভূত হওয়ায় তৈরি হয়েছিল আতঙ্কের পরিবেশ। স্থানীয়রা ঘর থেকে বেরিয়া যায়। পর পর দু বার মাটি কেঁপে ওঠান আতঙ্ক দেখা যায় সাধারণের মধ্যে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও ৫ মার্চ এ ঘন্টার মধ্যে ২ বার কেঁপে উঠেছিল মণিপুর। দুটি ভূমিকম্পেরই উৎসস্থল ঠিল কামজং জেলা। সে সময় রিখটা স্কেলে দুটি কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৭ এবং ৪.১।