কফিনে পেরেক, জাদুঘরে যাবে রেলের হলদে পিচবোর্ড টিকিট

arka deb |  
Published : Jun 08, 2019, 09:21 AM IST
কফিনে পেরেক, জাদুঘরে যাবে রেলের হলদে পিচবোর্ড টিকিট

সংক্ষিপ্ত

একে এডমন্ডসন টিকিটই বলা হত। রাজীব গান্ধীর আমলে কাগজের টিকিট আসার আগে পর্যন্ত সর্বত্রই এই টিকিটই পাওয়া যেত। কাগজের টিকিটকেও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে সময় নিতে হয়েছে তিন দশক।

ছোটবেলায় হলুদ পিচবোর্ডের টিকিট জমায়নি এমন বাঙালি পাওয়া দুস্কর। জেন ওয়াই অবশ্য সেই টিকিটে তেমন সড়গড় নয়। কেননা দূরপাল্লা হোক বা রোজের যাত্রা, এখন সব টিকিটই কম্পিউটারে প্রিন্টার থেকে বেরিয়ে আসে। হাতে গোনা যে কয়েকটি জায়গায় এই টিকিট পাওয়া যেত, তাও এবার বন্ধ হতে চলেছে। রেল সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী বছর মার্চ থেকেই আর পাওয়া যাবে না রেলওয়ের এই টিকিট। ২.২৫ ইঞ্চি প্রস্থের এবং ১.২২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই টিকিটের এবার জায়গা হবে মিউজিয়ামে। 

১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ রেলওয়ের এডমন্ড সাহেব এই টিকিট চালু করেন। ভারতে এই টিকিট আসে এর ১৩ বছর পরে। একে এডমন্ডসন টিকিটই বলা হত। রাজীব গান্ধীর আমলে কাগজের টিকিট আসার আগে পর্যন্ত সর্বত্রই এই টিকিটই পাওয়া যেত। কাগজের টিকিটকেও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে সময় নিতে হয়েছে তিন দশক।

ইতিমধ্যে ছাপার খরচ কমাতে ভারতীয় রেলওয়ে বহুদিন ধরেই এই ধরনের পিজবোর্ড টিকিট ছাপার কারখানাগুলি বন্ধ করছে। অবশেষে জানানো হল আগামী বছর বছর মার্চ মাসের মধ্যে বন্ধ হবে দিল্লি, রোয়াপুরম, সেকেন্দ্রাবাদ এর কারখানাও। ছাপাখানার কর্মীদের অন্য বিভাগে ট্রান্সফার করা হবে। আর ১৬০ বছরের পুরনো এই টিকিটের স্থান হবে রেলওয়ে  জাদুঘরে।

প্রসঙ্গত চার বছর আগে রেলবোর্ড বন্ধ করে ভারতের সবচেয়ে পুরাতন রেলওয়ে কাউন্টার। কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসের কাউন্টারটি বন্ধ হয়েছিল লাভ ক্ষতির অঙ্ক কষে। এবারেও রেল সেই যুক্তিকেই খাড়া করছে। রেলের বক্তব্য, নীলগিরি ছাড়া হাতে গোনা কয়েকটি অঞ্চলে এই টিকিট চালু রয়েছে। কিন্তু তিনটি ছাপাখানা চালাতে ও কর্মচারীদের রাখতে ব্যয় হয় প্রচুর। লোকসান রুখতেই কফিনে পেরেক পড়ছে এক ফেলে আসা মেদুর নস্টালজিয়ার। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি