রঘুবর সিং-এর পর এবার পরীক্ষা অরবিন্দ কেজরিওয়াল-এর। ইতিমধ্যেই রাজধানীতে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস, আপ - সব দলই ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) এই রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করলেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। দিল্লিতে ভোট গ্রহণ করা হবে একদফাতেই, ভোটগ্রহণের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি, আর ফলপ্রকাশ করা হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।
৭০ সদস্যের দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন বিধানসভা গঠন করতে হবে। এই রাজ্য়ের মোট ভোটার সংখ্যা ১,৪৬,৯২,১৩৬ জন। তাদের জন্য রাজ্যে মোট ১৩,৭৫০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রগুলিতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ডিসিপি পদমর্যাদার একজন করে আধিকারিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন। গোটা রাজ্যে ৯০ হাজার আধিকারিক মোতায়েন করা হবে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ -
নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি - ১৪ জানুয়ারি
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন - ২১ জানুয়ারি
ভোটগ্রহণ - ৮ ফেব্রুয়ারি
ফলপ্রকাশ - ১১ ফেব্রুয়ারি
২০১৫ সালে ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৬৭টি আসন জিতেছিল আম আদমি পার্টি বা আপ। আর ৩টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসের ভাঁড়ার ছিল একেবারে শূন্য। এইবার প্রথম দিকে শোনা যাচ্ছিল বিজেপি-কে আটকাতে কংগ্রেস জোট বাঁধার প্রস্তাব দিতে পারে আপ-কে। কিন্তু পরে দুই দলই আলাদা আলাদা ভাবেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।