এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন আর্থিক রুপরেখা প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইন বদলের কথা বললেন তিনি
এই আইনটি ১৯৫৫ সালের
আইন বদলে কী কী বদলে যাচ্ছে
শুক্রবার আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্থনৈতিক রুপরেখা ব্যাখ্যার তৃতীয় দিনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কৃষকরা যাতে উন্নত মূল্য আদায় করতে পারেন সেই কারণে ১৯৫৫ সালের 'নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইন' সংশোধন করার কথা ঘোষণা করলেন। নির্মলা সীতারমণ বলেছেন যে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করে এবং কৃষিক্ষেত্রকে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলার অত্যন্ত দরকারি। এতে কৃষকরা তাদের পণ্যের আরও ভাল দাম আদায় করতে সক্ষম হবেন।
১৯৫৫ সালের এই আইনের বদল ঘটানোয় কী কী বিষয় পাল্টে যাবে?
- খাদ্যশস্য ভোজ্যতেল, তৈল-বীজ, ডাল, পেঁয়াজ এবং আলু-সহ কৃষিজাত খাদ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণহীন হবে।
- জাতীয় বিপর্যয়, দুর্ভিক্ষ বা মূল্যবৃদ্ধির মতো অত্যন্ত ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে মজুত করার বিষয়ে সীমা লাগু করা হবে।
- তবে, প্রক্রিয়াকারক বা যারা মূল্য-শৃঙ্খলের অংশ, তাদের বিদ্যমান ক্ষমতার অধীনে বা রফতানির চাহিদার সাপেক্ষে কোনও রফতানিকারীর ক্ষেত্রে এ জাতীয় কোনও মজুত সীমা প্রযোজ্য হবে না।
এই আইনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থমন্ত্রী সীতারমণ এদিন, কোল্ড স্টোরেজ চেইন ও ফসল কাটার পরবর্তী ব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো উন্নয়নে এক লক্ষ কোটি টাকার নতুন আর্থিক সংস্থানের কথা ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, এই এক লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ব্যবহার করা হবে কৃষিক্ষেত্র ও কৃষিমাণ্ডির পরিকাঠাগত উন্নয়নের প্রকল্পগুলির অর্থায়নে। তহবিলটি অবিলম্বে তৈরি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।