মহড়া দিলেন পবন জল্লাদ, কিন্তু আদৌ কি কাল ভোরেই হবে নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসি

হিসেব মতো আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই।

তিহার জেলে এসে গিয়েছেন পবন জল্লাদ।

একপ্রস্থ মহড়াও সেরে নিয়েছেন ফাঁসুড়ে।

কিন্তু আদৌ কি শনিবার ভোরে হবে ফাঁসি?

 

amartya lahiri | Published : Jan 31, 2020 7:40 AM IST / Updated: Jan 31 2020, 01:11 PM IST

হিসেব মতো হাতে আর ২৪ ঘণ্টাও পড়ে নেই। নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার মৃত্যু পরোয়ানা অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় চার আসামিরই ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা। এমন পরিস্থিতিতেও সবার মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরছে, নির্ধারিত সময়েই নির্ভয়াকাণ্ডের সমাপ্তি ঘটবে তো? কারণ একমাত্র মুকেশ সিং ছাড়া বাকি তিন আসামি হাতেই এখনও আইনি বিকল্প পড়ে রয়েছে। তাতে ফাঁসি বাতিল না হলেও ফের পিছিয়ে যেতেই পারে। তবে শুক্রবার সকালেই তিহার জেলে এসে গিয়েছেন ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ।

বিনয়, পবন ও অক্ষয় - এই তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। শুক্রবার সকালেই দিল্লির এক আদালত তিহার জেল প্রশাসনকে নোটিশ জারি করে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিদের করা আবেদন সম্পর্কে জবাব তলব করা হয়েছে। শুক্রবারই সেই জবাব দিতে হবে। বৃহস্পতিবার আসামিরা ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার আবেদন করেছিল।

এছড়া এই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার অন্যতম আসামি অক্ষয়-এর কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হয়ে গেলেও সে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারে, মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের জন্য সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করতে পারবে। বিনয় কুমার শর্মা এখনও কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেনি। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করাও বাকি রয়েছে। আর অপর আসামি পবন গুপ্তা এখনও মৃত্যদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে কোনওরকম আবেদনই করেনি। তাই ফাঁসি আদৌ কাল হবে, না আবার কোনও বাধা আসবে সেই প্রশ্নই ঘুরছে ভারতবাসীর মনে।

তবে, তাই বলে তিহার জেলে প্রস্তুতি থেমে নেই। মেরঠ থেকে এসে গিয়েছেন ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। শুক্রবার ভোরে তিনি আসামিদের ফাঁসিতে ঝোলানোর একপ্রস্থ মহড়া দিয়েছেন। এক সূত্রের খবর, যদি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডের তারিখ পিছিয়ে যায়, তাহলেও সামনের কদিন তিহার কারাগারেই থেকে যাবেন পবন। আসামিদের নকল দেহ নিয়ে ফাঁসি দেওয়ার অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। এর উদ্দেশ্য হল দড়ির শক্তি নির্ধারণ করা এবং ফাঁসি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তা নিশ্চিত করা। এখনও পর্যন্ত কাউকেই ফাঁসি দেওয়ার সুযোগ হয়নি পবন জল্লাদ-এর। তবে তার বাবা এবং দাদু-ও ফাঁসুড়ে ছিলেন। তাই এই কাজ তাঁর রক্তে রয়েছে।

 

Share this article
click me!