
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে একটি ভাড়া বাংলোয় ভুয়ো দূতাবাস চালিয়ে আসছিলেন হর্ষ বর্ধন জৈন নামে এক ব্যক্তি। তাকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। 'ওয়েস্ট আর্কটিকা' নামে একটি অস্তিত্বহীন দেশের রাষ্ট্রদূত সেজে এই প্রতারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
কবি নগর এলাকার একটি বাংলোয় এই ভুয়ো দূতাবাস চলছিল। হর্ষ বর্ধন জৈন নিজেকে 'ওয়েস্ট আর্কটিকা'র রাষ্ট্রদূত বলে দাবি করতেন। শুধু 'ওয়েস্ট আর্কটিকা' নয়, 'সাবোরগা', 'পাউলভিয়া' এবং 'লোডোনিয়া'র মতো কাল্পনিক দেশের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকায়ও অভিনয় করেছেন তিনি। নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দেখানোর জন্য ভুয়ো দূতাবাসের নম্বর প্লেট লাগানো বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করতেন।
প্রতারণার নেপথ্যে
হর্ষ বর্ধন জৈন বিদেশে চাকরি এবং ব্যবসায়িক চুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই প্রতারণার জন্য তিনি 'হাওয়ালা'র মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেনের জাল বিস্তার করেছিলেন।
এই ভুয়ো দেশগুলির নামে জাল নথি, পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টও তিনি সরবরাহ করেছেন। এছাড়াও, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের জাল সিলমোহরযুক্ত নথিও তৈরি করেছেন।
বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী
STF-এর তল্লাশিতে হর্ষ বর্ধন জৈনের কাছ থেকে নিম্নলিখিত জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে:
এই সমস্ত জিনিসপত্র মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ব্যবহার করা হত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হর্ষ বর্ধন জৈনের পটভূমি
এই প্রথম হর্ষ বর্ধন জৈনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তা কিন্তু নয়। আধিকারিকরা বলছেন ২০১১ সালে অবৈধ স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিতর্কিত ধর্মগুরু চন্দ্রস্বামী এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী আদনান খাশোগির সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে। এই প্রতারণা সংক্রান্তে কবি নগর থানায় নতুন মামলা (FIR) দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ হর্ষ বর্ধন জৈনের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্কটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এই প্রতারণায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও গ্রেফতার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।