করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি জারি হয়েছে গোটা দেশে। রবিবার জনতা কারফুর সাড়া দেখেই দেশের ৭৫টি পুরসভা লকডাউন করার পথে হেঁটেছে ভারত। দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই অবস্থায় পিছিয়ে নেই দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা। রবিবার বিকেলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের তরফ থেকে ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আরও ৮০০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হরিয়ানার ঝাঁঝরে এইমস হাসপাতালের যে বিল্ডিং তৈরি হয়েছে সেখানে রয়েছে এই শয্যা গুলি। বর্তমানে এই বেডগুলি শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের সংরক্ষিত করা থাকবে।
বলরাম ভার্গব আরও জানিয়েছেন এই মুহূর্ত প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। সপ্তাহে ৫০ থেকে ৭০ হাজারের কাছাকাছি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এর পরিমাণ আরো বাড়ানো সম্ভব হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দেশের বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলির সঙ্গে কথা বলা শুরু হয়েছে। প্রয় ৬০টি পরীক্ষাগার জানিয়েছে তাঁরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষায় সম্মতি দিয়েছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৫থেকে ১৭ হাজারে নিয়ে যেতে খুব একটা সমস্যা হবে না। তাই এখনই দেশবাসীর চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বস্ত করেছে আইসিএমআর।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মহামারীর আকার নেওযায় দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে ভারত। রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্য বেড়ে হয়েছে ৬। এই পরিস্থিতিতে প্রায় লকডাউনের পথে হেঁটেই পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা শুরু হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেই করোনার সংক্রমণ রোখার পথ খুঁজছে ভারত।