নতুন বছরের শুরু হতে না হতেই রাজধানীতে ফের অগ্নিকাণ্ড। বৃহস্পতিবার ভোররাতে পশ্চিম দিল্লির পিরাগারহি এলাকার একটি ব্যাটারি কারখানায় আগুন লাগে। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভেঙে পড়ে কারখানার একটি অংশ। যার ফলে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন।
দেখুন ভিডিও: বছরের শুরুতেই নতুন করে তুষারপাত, সাদা বরফের চাদরে ঢেকেছে উত্তরাখণ্ড
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আগুন নেভাতে আসে দমকলের ৫০টি ইঞ্জিন। ধ্বংসস্তূপের ভিতর উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে আটকে পড়েন কয়েকজন দমকলকর্মীও।
কারখানার পিছনের দিকের একটি অংশ ভেঙে পড়ে অগ্নিকাণ্ডে। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ জন দমকলকর্মী সহ ১৪ জন জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত ডিসিপি (আউটার) রাজেন্দ্র সাগর। পরিস্থিতির উপর তিনি নজর রাখছেন বলে অগ্নিকাণ্ডের পরেই ট্যুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দেখুন ভিডিও: সারা দেশ কাঁপছে কনকনে ঠান্ডায়, পশুদের বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ চিড়িয়াখানার
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ব্যাটারি কারখানাটিতে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যার ফলে সকাল নটা নাগাদ ব্যাটারি কারখানাটিতে বিস্ফোরণ হয়। খবর পেয়েই প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। তবে কী ভাবে এই বিধ্বংসী আগুন লাগল তার কারণ এখনও জানা যায়নি।
গত ডিসেম্বরেই দিল্লির কিরারির কাপড়ে গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যু হয়। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আনাজ মান্ডির বহুতলের একটি কারখানায় ভয়াবহ আগুনে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৪৩ জনের। দিন কয়েক আগে মুণ্ডকা এলাকায় আগুন লাগে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে ব্যতিব্যস্ত দিল্লীবাসী। তবে দিল্লিতে অগ্নিকাণ্ডের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৭ সালে। উপহার সিনেমা হলের আগুন কেড়ে নিয়েছিল ৫৯টি তাজা প্রাণ।