Spiti valley: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) লাহুল স্পিতি ভ্যালি ভারতের প্রথম কোল্ড ডেজার্ট বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ স্বীকৃতি পেল। ভারতের মতো বৈচিত্রপূর্ণ দেশে এই স্বীকৃতি স্বাভাবিক ঘটনা।
Cold Desert Biosphere Reserve: ইউনেস্কো (UNESCO) হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) লাহুল-স্পিতি ভ্যালিকে (Spiti Valley) ভারতের প্রথম ‘কোল্ড ডেজার্ট বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ’ (Cold Desert Biosphere Reserve) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলটি ইউনেস্কোর বিশ্ব নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হল। সম্প্রতি চিনের হাংঝাউ প্রদেশে আয়োজিত ৩৭তম ম্যান এন্ড দ্য বায়োস্ফিয়ার শীর্ষক অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটিং কাউন্সিলের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা করা হয়। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী ম্যান এন্ড দ্যা বায়োস্ফিয়ার নেটওয়ার্কে ভারতের বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের সংখ্যায় এসে দাঁড়াল ১৩। যা পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই স্বীকৃতি কেবল একটি ভৌগলিক অঞ্চলকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে তুলে ধরাই নয়, বরং প্রকৃতি ও মানুষের সহাবস্থানের এক অনন্য উদাহরণকেও চিহ্নিত করে।
এবার দেখা যাক মূল বিষয়গুলি কী-
প্রথম স্বীকৃতি: এটি ভারতের প্রথম উচ্চতা'কোল্ড ডেজার্ট' বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, যা 'ইউনেস্কো' দ্বারা স্বীকৃত।
বিস্তৃত অঞ্চল: এই রিজার্ভটি প্রায় ৭,৭৭০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।
ইউনেস্কোর বিশ্ব নেটওয়ার্ক: এই স্বীকৃতি ভারতের ১৩তম ইউনেস্কো বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে গণ্য হচ্ছে এবং এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব নেটওয়ার্কের অংশ হল।
ভূ-প্রকৃতি: এই অঞ্চলটি হিমালয়ের উচ্চ-উচ্চতার ঠান্ডা, শুষ্ক বাস্তুতন্ত্রের একটি অংশ। এটি পিন ভ্যালি জাতীয় উদ্যান এবং এর আশেপাশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (যেমন চন্দারাল, সাচু এবং কিবরা) অন্তর্ভুক্ত করে।
জীববৈচিত্র্য: এখানে ৭৩২ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলিই হিমালয়ের স্থানীয়। এছাড়া এখানে তুষার চিতা, হিমালয় আইবেক্স, নীল ভেড়া, হিমালয় নেকড়ে এবং সোনালি ঈগলের মতো বিখ্যাত বন্যপ্রাণীও দেখা যায়।
মানুষ ও সংস্কৃতি: প্রায় ১২,০০০ মানুষ এই অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত গ্রামগুলিতে বসবাস করে। এখানকার মানুষেরা শতাব্দীপ্রাচীন ইয়াক ও ছাগলের পালন, বার্লি ও মটর চাষ, তিব্বতি ওষুধ এবং বৌদ্ধ মঠের অনুশীলনের উপর নির্ভরশীল।
এই স্বীকৃতির গুরুত্ব: এই স্বীকৃতি ভারতের পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরবে। এটি প্রমাণ করে যে, কঠিন প্রাকৃতিক পরিবেশেও মানুষ এবং প্রকৃতির সহাবস্থান সম্ভব।