রাতের অন্ধকারে অফিস থেকে বাড়ি ফেরা হোক বা দিন্র যে-কোনও সময়ে ফাঁকা নির্জন রাস্তা দিয়ে যাওয়াই হোক- প্রয়োজন থাকলেও এই বিষয়গুলি সচেতনভাবেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন মেয়েরা। কারণ আজও আমাদের দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। তাই একজন পুরুষের মতো চলাফেরা করা মেয়েদের সাজে না, কারণ তাঁরা মেয়ে!
আর এবার এই মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাই এগিয়ে এসেছেন মহিলারাই, তবে এক অন্যরূপে। যে রূপে সাধারণত আমরা তাঁদের দেখি না। সম্প্রতি আমরা মহিলাদের এমন বহু পেশায় নিযুক্ত হতে দেখেছি, যাতে হয়তো এতদিন সাধারণ মানুষ অভ্যস্ত ছিলেন না। মহিলারা একদিকে যেমন সরকারি বাস চালান, বাসে কন্ডাক্টরও হিসাবেও কাজ করেন, তেমনই সম্প্রতি পিঙ্ক ক্যাবও একাধিক মহিলাকে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনই সাহায্য করেছে স্বনির্ভত হতেও।
তবে এবার পুনের কিছু মহিলা নিজেদের গড়ে তুলেছেন এক অন্য ধাঁচে। রণরাগিনী লেডিস বাউন্সার ও ওম্যান পাওয়ার গ্রুপ-এর উদ্যোগে মহিলারা এগিয়ে আসছেন বাউন্সার হিসাবে কাজ করার জন্য। দুবছর আগে রণরাগিনী যখন কাজ করতে শুরু করে তখন তাঁদের সদস্য সংখ্য ছিল মাত্র ১২ জন। তবে এখন সদস্য সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পুনের এই মহিলা বাউন্সাররা এখন বিভিন্ন ইভেন্ট, মেলা, অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলে বডিগার্ড হিসাবেও কাজ করছেন। পুলিশের কাজ খানিকটা লাঘব করতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে এই রণরাগিনী বাহিনী।
মহারাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলা সদস্যরাই এগিয়ে আসছেন এই পেশায়। এর মধ্য রয়েছেন বিবাহিত, অবিবাহিত, বিধবা, গৃহবধু মহিলারা। যদিও মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের এই কনসেপ্ট মুম্বই-এ নতুন নয়, পাঁচ বছর আগেই সেখানে মহিলা নিরাপত্তরক্ষীরা কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে সেখানকার মহিলাদের মধ্য এই চিন্তাভাবনা আজও প্রাসঙ্গিত তা প্রমাণ করল এই রণরাগিনী বাহিনী।