কয়েকদিনের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির অসমের পরিস্থিতি এখন খানিকটা স্থিতিশীল। গত তিন দিন বৃষ্টি হয়নি অসমে, তাই এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ব্রহ্মপুত্র এখন আগের থেকে অনেকটাই শাস্ত। বৃষ্টি না হওয়ার ফলে অসমের অন্যান্য নদীর জলও অনেকটাই নেমেছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু অসমের সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে এখনও সেখানকার ২৪টি জেলা এখনও বন্যায় বিধ্বস্ত। অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে ২৪টি জেলার প্রায় ৩,০৩৪ গ্রাম এখনও জলের নীচে। বিপর্যস্ত জেলাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঢেমাজি, লখিমপুর, ধুবরি, দক্ষিণ সালমারা, কামরূপ, মরিগাঁও জোরহাট ইত্যাদি। অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে এখনও রাজ্যে প্রায় ৬৮৯টি ত্রাণ শিবির কাজ করে চলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, এইসব ত্রাণ শিবিরগুলিতে প্রায় ১,৩১,৫৮৬ জন মানুষ রয়েছেন। প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বন্যার কবলে পড়েছিল কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীও। বন্যার কারণে জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯০ শতাংশই চলে গিয়েছিল জলের তলায়। তবে সূত্রের খবর অসমের ব্রহ্মপুত্র আগের থেকে একটু শান্ত হলেও বিপদ কিন্তু এখনও পুরোপুরি কাটেনি। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত অসমে মৃতের সংখ্যা মোট ৬৭।
পাশাপাশি বিহারে বন্যার জেরে মৃত্যু মিছিল এখনও জারি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিহারে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও বন্যার জেরে বিহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭ জন। বিহারে বন্আযয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ। মুজফফরপুর এবং কাটিহারে বন্যআর কবলে মানুষর প্রাণ না গেলেও পূর্ণিয়া, সেওহর, কিষেণগঞ্জ, চম্পারণ ইত্যাদি জায়গায় বন্যার কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।