এবারের বন্যায় বিহারের সাধারণ মারাত্মক সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছ। অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে বিহারের বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। এখনও বিহারের একাধিক গ্রামে বন্যার পরিস্থিতি কার্যত অপরিবর্তীত ছিল। এখনও সেখানকার বেশিরভাগ বাড়িঘর কার্যত জলের তলায়।
এখনও বিহারের মাখনাহি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ উঁচু বাড়ির ছাদের ওপর দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার বন্যার জল থেকে বাঁচতে বাধ্য হচ্ছেন নিজের জমি-বাড়ি ছাড়তে। বর্তমানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের জন্য মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হল নৌকো। কিন্তু সাধারণ মানুষের দাবি হল পর্যাপ্ত পরিমাণে নৌকো সরবরাহ করা হচ্ছে না, আর সেই কারণেই সরকারের গাফিলতিকেই দায়ি করছেন তাঁরা।
সেখানকার বন্যাবিধ্বস্ত স্থানীয়য় বাসিন্দাদের আরও দাবি, তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল এবং খাবার এসে পৌঁছোচ্ছে না। সেখানকার স্থানীয় মানুষদের দাবি একটু পানীয় জলের জন্য তাঁদের কার্যত যুদ্ধ করতে হয়। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ৪-৫ দিনের মধ্যে একবার তাঁরা বাজারে যাওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে নৌকোর ব্যবস্থা না থাকায় সেই কাজটিও ঠিকভাবে হচ্ছে না। সরকারের তরফ থেকেও কোনও প্রকার সহায়তা মিলছে না। বন্যার কারণে তাঁরা ঘর-বাড়ি সব হারিয়েছেন। তাঁদের এই বিপুল পরিমাণে ক্ষতি কে পূরণ করবে, সেই প্রশ্নই ঘুরছে সকলের মুখে মুখে।
প্রসঙ্গত বিহারে বন্যার কবলে পড়ে একাধিক জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৩৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে প্রায় ১,২৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও এখনও বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে প্রায় ১২৪৩টি গ্রাম। আগামী দিনে সরকারের তরফ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে সেই অপেক্ষাতেই দিন কাটাচ্ছেন বন্যাবিধ্বস্ত সাধারণ মানুষ।