নাগরিকত্ব আইনের বিরদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে দেশ। বিশেষ করে অগ্নিগর্ভ চেহারা নিয়েছে অসম, বাংলা , দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ। যার মধ্য়ে সবথেকে খারাপ অবস্থা হয়েছে বিজেপি শাসিত ইউপি-র। এবার এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পিছনে বিদেশি ফান্ডিং রয়েছে বলে সন্দেহ করছে গোয়েন্দারা। বিষয়টি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র নজরে এনেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
সিএএ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে অনবরত হিংসাত্বক প্রতিবাদের পরই সন্দেহ দানা বাধে পুলিশের মনে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে লক্ষ্য করে কারা উত্তেজনা ছড়াতে চাইছিল তাদের ইতিমধ্য়েই সনাক্ত করেছে ইউপি সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এ বিষয়ে লিখিত রিপোর্ট পাঠিয়েছে ইউপি পুলিশ। সূত্রের খবর, রাজ্য়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পিছনে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা পিএফআই-এর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউপি পুলিশ।
জানা গেছে, এই কট্টর মৌলবাদী সংগঠনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। সারা দেশে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে রয়েছে ১০০ কোটির বেশি টাকা। যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানিয়েছে যোগীর পুলিশ। পপুলার ফ্রন্টকে রাজ্য়ে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে অনেক দিন ধরেই তোড়জোড় শুরু করেছিল যোগী প্রশাসন। এর আগে ঝাড়খণ্ডেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই সংগঠনকে। খোদ এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্য়মন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তিনি বলেন, দেশ বিরোধী প্রচারে হাত রয়েছে এই সংগঠনের। এদের আদি ভিত্তি সিমি-র মতো দেশের নিষিদ্ধ সংগঠন।
সূত্রের খবর, পিএফআই-কে কারা আর্থিক সাহায্য় করছে তা জানাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ২৮ টি হোওয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপের মাধ্য়ে ইউপিতে হিংসা ছড়িয়েছে তাদের সদস্যদের প্রোফাইল চেক করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, সিএএ নিয়ে ইউপিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পিছনে এই গ্রুপের সদস্যদের হাত রয়েছে। অতীতেও এই গ্রুপগুলি থেকে দেশবিরোধী প্রচার হয়েছে। আপাতত পপুলার ফ্রন্টের বিপুল ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের উৎস খুঁজতে নেমেছে ইডি। যোগাযোগ করা হয়েছে দিল্লি, মণিপুর ,কেরালা, উত্তরপ্রদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে। জানা গেছে, ইডি ও এনআইএ একাধারে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে।