লাদাখে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
সংঘর্ষের দায় ভারতের ঘাড়ে চাপাতে ব্যস্ত চিন
বার বার তুলছে একই অভিযোগ
সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে চিনা সেনার সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছে। দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে গিয়েই বলিদান দিয়েছেন ভারতীয় সেনা। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তৎপর ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং। দফায় দফায় বৈঠক করেছেন সেনা প্রধান, বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে। মঙ্গলবারই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরো ঘটনার বিষদ বিবরণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। আর ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিহত সেনা জওয়ানদের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জ্ঞাপণ করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় রাজনাথ বলেন, গ্যালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের মৃত্যু খুবই অস্বস্তিকর ও বেদনাদায়ক। সীমান্তে দেশের সৈনিকদের কর্তব্য পালন অনুকরণীয়। তাঁরা বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল। এবং দেশের জন্য তাঁরা জীবন উৎস্বর্গ করেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেছেন দেশের সৈন্যদের এই আত্মত্যাগ দেশের মানুষ কোনও দিন ভুলবে না। এই কঠিন সময় দেশের মানুষ সৈন্যদের পাশে রয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষ চিন এখনও পর্যন্ত তাদের দেশের হতাহত সৈন্য নিয়ে মুখ খোলেনি। ভারতীয় সৈন্যদের দাবি চিনে মৃত ও আহত সৈন্যের সংখ্যা প্রায় ৪০। কিন্তু সোমবার রাতে গ্যালওয়ান উপত্যকার ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত বেজিং। এদিনও বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দেন। সেখানে তিনি বলেন, গ্যালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলের সার্বভৌম্যত্ব সর্বদা চিনেত অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরও বলেন সীমান্ত সম্পর্কিত ইস্যুতে চিন প্রোটোকলকেই প্রাধান্য দেয়। কমান্ডার পর্যায় আলোচনা চললেও ভারতীয় সেনারা তা মানেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। ভারতীয় সেনা সীমান্ত নীতি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করে বেজিং।
গত ৬ সপ্তাহ ধরেই ভারত চিন সীমান্ত উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সোমবারের আগেও দুই একবার চিনা ও ভারতীয় সেনারা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশের মধ্যেই সামারিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু তারই মাঝে পূর্ব লাদাখের গ্যালওয়াল উপত্যকার এই সংঘর্ষ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।