আগামী বছর ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, পঞ্জাবের সঙ্গে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন হবে। উপকূলবর্তী এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যে জয়ের ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা।
বিজেপির পাখির চোখ গোয়া বিধানসভা (Goa Assembly) জয়। এমিনতেই ভাঙনের জেরে দ্বিধাগ্রস্ত কংগ্রেস। এখনও পুরোপুরি ঘর গুছিয়ে উঠতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় কিছুটা অ্যাডভানটেজ রয়েছে বিজেপির (BJP) ঝুলিতে। কিন্তু তাতেই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চায় না বিজেপি। এই অবস্থায় গোয়া বিধানসভা জয়ে নতুন স্ট্যাটেজি গ্রহণ করেছে বিজেপি। সূত্রের খবর স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বুথভিত্তিক সংগঠনের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে প্রত্যেক বুথ থেকে যাতে পদ্মফুলে ৫০০টি সংখ্যলঘু ভোট পড়ে তাও নিশ্চিত করতে হবে। সূত্রের খবর বিজেপির হিসেবে প্রত্যেক বুথ থেকে ৫০০টি সংখ্যালঘু ভোট পেয়েলেই বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাৎ করবে গেরুয়া শিবির।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, পঞ্জাবের সঙ্গে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন হবে। উপকূলবর্তী এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যে জয়ের ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার ইনচার্জ সৈয়দ ইয়াসির জিলানি জানিয়েছেন দলের সংগঠন আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জিলানি বলেন আগামী বিধানসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে বিজেপি পৌঁছে যেতে চায়। তাই বুথ স্তর থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। মোর্চার সব জেলা সভাপতিকেই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেস নয় মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের নেতৃত্বেই বিজেপি গোয়ার ক্ষমতা দখল করবে বলেও আশাবাদী তিনি।
গোয়াতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলতে মূলত খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বোঝায়। এখানে প্রায় ২৬ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ১৩ আসনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষই নির্ণয়ের ভূমিকা নিয়ে থাকেন। তথ্য ও পরিসংখ্যন খতিয়ে দেখেই এই সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকেই গেরুয়া শিবির টার্গেট করেছেন বলেও সূত্রের খবর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা গোয়াতে এবার তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে লড়াই হবে। কংগ্রেস, বিজেপি,তৃণমূল প্রত্যেকেই প্রত্যেকের প্রতিপক্ষ। যদিও আগের বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল গোয়ায় লড়াই করেছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পরই তৃণমূল রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে শক্তি সঞ্চয় করতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় গোয়াতেও নজর রয়েছে তৃণমূল নেত্রী। গোয়া সফরেই গিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের হাত শক্ত করতে কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে এসেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী,। নাফিসা আলির মত অভিনেত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী। লিয়েন্ডার পেজ।