দুবাইগামী এক যাত্রীর জুতোর ভিতর থেকে উদ্ধার হল ২৫৪ গ্রাম সোনার বিস্কুট। ওই ব্যক্তি জুতোর ভিতরে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে নিয়ে দুবাই থেকে ফিরছিলেন । মূলত সোনার বিস্কুট পাচারের উদ্দেশ্যেই তিনি করছিলেন এমন কাজ বলে অনুমান প্রাথমিক তদন্তে ।
অপরাধমনস্করা সবসময় আইনের ফাঁক খোঁজে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে কি করে সেই কড়া বলয় ভাঙবে সেই ছক কষতে থাকে অপরাধীরা। এই অপরাধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই আধুনিক হচ্ছে অপরাধ দমনের নীতি।সম্প্রতি পুলিশের নজর এড়িয়ে দুবাই ফিরতি এক যাত্রী জুতোর মধ্যে লক্ষ টাকার সোনা নিয়ে ঢুকছিল জয়পুর বিমানবন্দরে। ব্যক্তির আচার আচরণ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারা পাশে নিয়ে গিয়ে শুরু করে তদন্ত। তদন্ত চলাকালীন ওই দুই যাত্রীর একজনের জুতো থেকে বেরোয় প্রায় ৩ কেজি ৪৯৭ গ্রাম সোনা আর অপরজনের থেকে পাওয়া যায় ২৫৪ গ্রাম সোনা। পুলিশ সূত্রে খবর মোট উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় হতবাক দেশবাসী। বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানান, দুবাইগামী এক যাত্রীর জুতোর ভিতর থেকে উদ্ধার হল ২৫৪ গ্রাম সোনার বিস্কুট। ওই ব্যক্তি জুতোর ভিতরে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে নিয়ে দুবাই থেকে ফিরছিলেন । মূলত সোনার বিস্কুট পাচারের উদ্দেশ্যেই তিনি করছিলেন এমন কাজ বলে অনুমান প্রাথমিক তদন্তে । তবে কোথা থেকে এগুলি আনা হয়েছিল এবং এর পিছনে কারা রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে একইভাবে দুই ব্যক্তির জুতো থেকে ২ কোটিরও বেশি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তি মায়ানমারের বাসিন্দা। দুজনের দু-জোড়া জুতো থেকে মোট ২৯টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। বিপুল পরিমাণ এই সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান। কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর বা DRI অভিযানেই হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।