বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণনার দিন শেষ, বরং ২০২১ সালে ভারতের আদমসুমারি হবে সম্পূর্ণ ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে। আগেই একথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরজন্য প্রাথমিক ভাবে খরচ ধরা হচ্ছে প্রায় ৮,৭৫৪ কোটি টাকা। ১৬টি ভাষাতে চলবে জনগণনার কাজ। লোকসভায় জানালেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
সংসদের নিম্নকক্ষে লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান. "প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শ মেনে এবারের আদমসুমারির প্রশ্নগুলিতে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।"
গত সেপ্টেম্বরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এবারের জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধ প্রক্রিয়াটি চলবে মোট ১৬টি ভাষায়। শাহ বলেছিলেন, সারা দেশে আদমসুমারি পয়লা মার্চ থেকে শুরু হলেও বরফে ঢাকা জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাৎখণ্ডে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০২০ সালের পয়লা অক্টোবর থেকে।
রাই সংসদে জানান, তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলবে দুটি ভাগে। আবাসস্থল গণনার কাজটি চলবে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এবং জনগণনার কাজটি হবে ২০২১ সালের ৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
পেন, কাগজ নিয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে নয়, বরং ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ায় এই প্রথম জনগণনা হতে চলেছে মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যেম। দেশবাসী নিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করে নিজেরাই তথ্য জমা দিতে পারবেন বলে জানাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
১৮৬৫ সালে প্রথম জনগণনা হয়েছিল ভারতে। ২০২১ সালের আদমসুমারি ১৬তম গণনা হতে চলেছে। ২০২১ সালে ভারতের শেষ আদমসুমারিটি হয়, তখন জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের জনসংখ্যা নিয়ে নির্ভুল ও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নিচ্ছে মোদী সরকার। অনেকেই আবার মনে করছেন, এই তথ্য হাতে পেলে সারা দেশ জুড়ে এনআরসি করার দিকে আরও এক ধাপ এগোবেন মোদী-শাহ জুটি।