শিল্পে খরা, সরকারি রিপোর্টই রায় দিচ্ছে মোদী সরকারের বিপক্ষে

 

  • কেন্দ্রীয় সরকারি এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ০.১শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে শিল্পবৃদ্ধির হার।
  • গত  ২০ মাসের থেকেও নীচে তলিয়ে গিয়েছে এই হার। কিন্তু কেন?

arka deb | Published : Apr 26, 2019 10:07 AM IST

কথায় বলে, সংখ্যা কথা বলে। বুক ফুলিয়ে পাঁচ বছরের কাজের ফিরিস্তি জানান দিয়ে যখন দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী, তখন তাঁর বিপক্ষে কথা বলছে খোদ সরকারি রিপোর্ট।

কেন্দ্রীয় সরকারি এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ০.১শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে শিল্পবৃদ্ধির হার। গত  ২০ মাসের থেকেও নীচে তলিয়ে গিয়েছে এই হার। কিন্তু কেন?  অর্থনীতিবিদরা এর জন্যে দায়ী করছেন কলকারখানার উৎপাদন হ্রাসকে। এর সঙ্গে এসে জুড়েছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধিকেই এর জন্যে দায়ী করা হচ্ছে।

ভোটের বাজারে মোদী ভারতবর্ষের যাবতীয় উন্নতির কৃতিত্ব নিতে চাইছেন নিজের কাধে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সেক্ষেত্রে এই আর্থিক বেহাল দশারও দায় নিতে হবে। পরিসংখ্যান বলছে ফেব্রুয়ারি মাসে উৎপাদন শিল্পে সংকোচন হয়ে ০.৩ শতাংশ। মূলধনী পণ্য অর্থাৎ শিল্প তৈরির কাঁচামালের উৎপাদনও কমেছে ৮.৮ শতাংশ।  অর্থাৎ খুব পরিস্কার যে নিত্য প্রযোজনীয় দ্রব্যের বাজারে ভালই মন্দা তৈরি হয়েছে। তাৎপর্যপূ্‌র্ণভাবে কমেছে গাড়ি বিক্রির পরিমাণও।

 

মোদীর পাঁচ মাথাব্যথা

দেখা য়াচ্ছে ভারী শিল্প ও শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্র চাঙ্গা ছিল গত অক্টোবর মাস পর্যন্তও। এই ক্ষেত্রে বিকাশের হার ছিল ৮.৯ শতাংশ। এই হার পড়তে শুরু করে ডিসেম্বর মাস থেকে। গত অর্থবর্ষে সব থেকে লাভজনক ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছিল আসবাব এবং খাদ্যদ্রব্য তৈরির পরিসরকে। এ বছর অনেকটা লাভের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে কম্পিউটার হার্ডওয়ার উ‌‌‌ৎপাদনের ক্ষেত্র।

ভোটপ্রচারে যাই বলুন, মোদী ভালই জানেন শিল্পের জোগান না হলে দেশের ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল। এই অবস্থায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে হাল ফেরাতে বেশ কয়েকটি নতুন পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে তাঁদের সংকল্পপত্র। কিন্তু মুখের কথায় মন ভিজবে কী, জানতে ২৩ মে এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশবাসী।

Share this article
click me!