রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের প্রভাবও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারে। সম্প্রতি RBI নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে, আরবিআই ভারতের বৃদ্ধির অনুমান বেশ কমিয়ে দিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারের আভ্যন্তরীণ কিছু সেক্টরে।
গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা চলছে। কোন দল ক্ষমতায় থাকবে, তা ফল ঘোষণার পরই জানা যাবে। কিন্তু এই নির্বাচনী ফলাফল বাজারে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। সকাল ৯.১৫ মিনিটে বাজার খোলে। এমন পরিস্থিতিতে, ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতার মধ্যে, বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টাকার অবস্থান আজ বেশ জোরালো প্রমাণিত হয়েছে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা একে ফ্ল্যাট স্টার্ট হিসেবে বিবেচনা করছেন। গতকাল টাকা ৮২.৪৭ মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৮২.২৭ এ খোলা হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতির প্রভাব
সেই সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের প্রভাবও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারে। সম্প্রতি RBI নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে, আরবিআই ভারতের বৃদ্ধির অনুমান বেশ কমিয়ে দিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারের আভ্যন্তরীণ কিছু সেক্টরে।
এর আগে বুধবার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২১৫.৬৮ পয়েন্টের পতনের সাথে বন্ধ হয়েছিল। এটি প্রায় ০.৩৪% হ্রাস পেয়েছে। সেনসেক্স ৬২,৪১০.৬৮ এ বন্ধ হয়েছে। গত চার সেশন থেকে সেনসেক্সে ক্রমাগত পতন হচ্ছে। এটি ছাড়াও, NIFTY ৮২.২৫ এ বন্ধ হয়েছে। এটি ০.৪৪% এর পতন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। NIFTY ১৮,৫৬০.৫০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।
এদিকে, হিমাচল প্রদেশে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দলই কড়া টক্করে নেমেছে। সকাল দশটা পর্যন্ত ভোটগণনার ট্রেন্ড বলছে খেলা ৫০-৫০ চলছে। এখনও পর্যন্ত বিজেপি ৩৫টি আসনে এগিয়ে থাকলেও কংগ্রেস ৩২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ভোট গণনার ট্রেন্ড থেকে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান যে স্বতন্ত্র বা ইন্ডিপেনডেন্ট বিধায়করা রাজ্যে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে হিমাচল প্রদেশে মোট ৬৮টি আসন রয়েছে। বর্তমানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের ইতিহাস হলো কোনো দলই দুইবারের মেয়াদে একটানা সরকারে থাকেনি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের হিসেব পাল্টে যেতে বেশি সময় নাও লাগতে পারে।
হিমাচল প্রদেশে মোট ৬৮টি বিধানসভা আসন রয়েছে। যার মধ্যে ট্রেন্ডের কথা বললে ৩৬টি আসন বিজেপির ঝুলিতে যেতে দেখা যায়। একটু পিছিয়ে থাকলেও কংগ্রেসও এগিয়ে রয়েছে ৩২টি আসনে। এখন সবার চোখ আম আদমি পার্টির আসনের দিকে। আপ কি হিমাচলের মাটিতে কিছু কারিশমা দেখাতে পারবে? এমনটা হলে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার দিকে গড়াতে পারে হিমাচলের ভাগ্য। তবে স্বতন্ত্র আসন ছাড়া যে কোনো দলের একার পক্ষে সরকার গঠন করা কঠিন বলেই মনে হচ্ছে। কারণ প্রধান দুই দলেই জোর লড়াই দেখা যাচ্ছে।