
গুজরাট মন্ত্রিসভায় একটি বড়সড় রদবদল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ছাড়া বাকি ১৬ জন মন্ত্রী বৃহস্পতিবার একযোগে পদত্যাগ করেছেন। একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনুসারে, নতুন মন্ত্রিসভা ১৭ই অক্টোবর সকাল ১১:৩০ মিনিটে গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে শপথ নেবে।
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহের গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজান হয়েছিল। এবারও মোদীর রাজ্য সেই পথেই হাঁটবে বলেও মনে করেছে অনেকে। কিন্তু মন্ত্রিসভার পদত্যাগের কারণ নিয়ে প্রশাসন বা বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও কিছু বলা হয়নি। কিন্তু আগামিকাল যে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
গুজরাটে সর্বোচ্চ ২৭ জন মন্ত্রী (১৮২ সদস্যের বিধানসভার ১৫%) থাকতে পারেন, এবং বিজেপি এই পদগুলির বেশিরভাগই পূরণ করার লক্ষ্য রাখছে। গুজরাট মন্ত্রিসভায় এতদিন পর্যন্ত মোট ১৭ জন (মুখ্যমন্ত্রী সহ) মন্ত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ৮ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং ৮ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ভবিষ্যতের নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের আগে গুজরাটে দলের নেতৃত্বকে নতুন করে চাঙ্গা করার জন্য বিজেপির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই রদবদল করা হয়েছে।
এদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আজ আমেদাবাদে পৌঁছেছেন। সরকার গঠনের মাত্র তিন বছরের মাথায় এবং ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দুই বছর আগে গুজরাট মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনার এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণে অন্তর্ভুক্ত মনোনীত মন্ত্রীদের পদ ও গোপনীয়তার শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
মন্ত্রিসভায় ছিলেন কানুভাই মোহনলাল দেশাই, ঋষিকেশ গণেশভাই প্যাটেল, রাঘবজিভাই হংসরাজভাই প্যাটেল, বলবন্তসিংহ চন্দনসিংহ রাজপুত, কুনভারজিভাই মোহনভাই বাভালিয়া, মুলুভাই হারদাসভাই বেরা, কুবেরভাই মনসুখভাই দিন্দোর, ভানুবেন মনোহরভাই বাবারিয়া, হর্ষ রমেশকুমার সাংঘভি, জগদীশভাই ঈশ্বরভাই পাঞ্চাল, পরশোত্তমভাই ওধভজিভাই সোলাঙ্কি, বাচুভাই মগনভাই খাবাড, মুকেশভাই জিনাভাই প্যাটেল, প্রফুল ছগনভাই পানশেরিয়া, ভিকুসিংহজি চতুরসিংহজি পারমার, কুনভারজিভাই নরসিংহভাই হালপতি।
ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪(এ) ধারা অনুসারে, একটি রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বিধানসভার মোট সদস্য সংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। সর্বনিম্ন ১২ জন মন্ত্রী (মুখ্যমন্ত্রী সহ) রাখা যেতে পারে। ১৮২ সদস্যের বিধানসভায় প্রায় ২৭ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন।
এই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণকে প্রশাসনে নতুন শক্তি সঞ্চার এবং গুজরাটে বিজেপির শাসন কাঠামোকে শক্তিশালী করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।