অবশেষে পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার তদন্তে নানাবতী কমিশন ক্লিন চিট দিল তখনকার মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে। এই দাঙ্গায় ১০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যার বেশিরভাগই ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। নানাবতী কমিশন অবশ্য ২০১৪ সালেই ততৎকালীন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেলের কাছে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। তবে বুধবার (১১ ডিসেম্বর)-ই তা প্রকাশ্যে আনা হল।
এদিন, গুজরাত বিধানসভায় এই রিপোর্ট উপস্থাপন করেন রাজ্যের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজা। ১,৫০০ এরও বেশি পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে কমিশন সাফ জানিয়েছে, মোদী বা মোদী সরকারের কোনও মন্ত্রী এই হামলা চালিয়েছিলেন বা দাঙ্গার উস্কানি দিয়েছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে পর্যাপ্ত পুলিশ না দেওয়ার জন্য তখনকার সরকারকে দায়ি করা হয়েছে।
কমিশন বলেছে, বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ, তাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ বা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রন করার সাজ-সরঞ্জাম ছিল না। একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহমেদাবাদ শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তৎপরতা পুলিশ দেখায়নি। দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে নানবতী কমিশন। তাঁদের মতে ২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী গোধরা-য় সবরমতি এক্সপ্রেসে ৫৯ জন করসেবকের দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়ার প্রতিক্রিয়াতেই গোটা গুজরাটে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।
২০০২ সালের ৩ মার্চ গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জি টি নানাবতীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। বিচারপতি কে জি শাহ ছিলেন কমিশনের দ্বিতীয় সদস্য। ২০০৯ সালে তাঁর প্রয়াণ ঘটে। এরপর গুজরাট হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারক (অবসরপ্রাপ্ত) অক্ষয় মেহতা-কে দ্বিতীয় সদস্য করা হয়েছিল।