"বিষাক্ত কর্মক্ষেত্র" এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের হঠাৎ মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ালেন স্ত্রী

Published : Feb 04, 2025, 10:14 AM IST
Simple habits to reduce heart attacks

সংক্ষিপ্ত

"বিষাক্ত কর্মক্ষেত্র" এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের হঠাৎ মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ালেন স্ত্রী

ভারতীয় কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাজের চাপে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে। গত এক বছরে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যার জন্য মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উচ্চ কাজের চাপ, কর্মক্ষেত্রে হয়রানির অভিযোগকে দায়ী করা হয়েছে।

এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের এক কর্মী সাফি খান ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর আকস্মিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরে মারা যাওয়ার দু'মাস পরে, তাঁর স্ত্রী লিঙ্কড ইনে তাঁর দুঃখ ভাগ করে নিয়েছিলেন। নিদা মুশির তার পোস্টে এই মৃত্যুর জন্য ইমরান খানের ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনদের দায়ী করেছেন, যেখানে তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন।

মুশির জানান, তার স্বামীর মৃত্যু স্বাভাবিক কারণে নয়, বরং "কর্মক্ষেত্রে অবিরাম চাপ ও হয়রানির কারণে হয়েছে।" তাঁর স্বামীর মৃত্যুকে "অত্যন্ত টক্সিক বা খারাপ কাজের পরিবেশই দায়ী" বলে জানিয়েছিলেন। তিনি জানান যে, " বেসরকারী ঋণদাতার সিস্টেমটি ক্রমাগত কর্মীদের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে যার দরুন এই ঘটনা ঘটেছে"।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম লিংকডইনে একটি পোস্টে স্বামীর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মুশির বলেন, "আমার স্বামী বারবার অভিযোগ করেছেন যে তাকে ছুটি এবং অন্যান্য ইস্যুতে সুপার সিনিয়রদের দ্বারা হয়রানি করা হয়েছিল। তিনি কয়েক মাস আগে পদত্যাগ করেছিলেন কিন্তু

ফের ফিরে আসতে রাজি হন, এবং একই শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হন।"

মুশির জানান, যে তার স্বামী একজন ক্লায়েন্টের সাথে সাক্ষাতের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় মারা গিয়েছিলেন। এ ছাড়াও ব্যাঙ্কের লখনউ অফিসে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া সাদাফ ফতিমা এবং মুম্বইয়ে তাঁর সহকর্মী শিবম মেহরোত্রার উদাহরণ দিয়ে মুশির প্রশ্ন তোলেন, "এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক তার বিষাক্ত কর্মসংস্কৃতি পরিবর্তন করার আগে আর কত জীবন নেবে? বীমা বিক্রির জন্য অত্যধিক চাপ এবং কর্মচারীদের নিজেদের জন্য কোনও বীমা নেই?

এই পোস্টের পাল্টা উত্তর দিয়ে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, "আমাদের গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। জনাব সাফি খান একজন মূল্যবান সহকর্মী ছিলেন যাকে পদে পদে স্মরণ করা হয়। আপনার পোস্টে দেওয়া কিছু বক্তব্য সঠিক নয় এবং বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হচ্ছি। মিঃ সাফি খান, যিনি ২০২২ সালের ৫ আগস্ট আমাদের সঙ্গে কর্মরত ছিলেন, তাঁর কার্যকালে কখনও ছুটির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়নি।ঠ

ব্যাংকটি আরও জানিয়েছে যে, মুশিরের পোস্টে করা অন্যান্য দাবিগুলি সঠিক নয় এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে "আলোচনার জন্য অনুপযুক্ত"।

PREV
click me!

Recommended Stories

প্রার্থী পদ বিক্রি ৫ কোটিতে, এই দাবির পরই নভজ্যোত সিধু ও তাঁর স্ত্রীকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস
৮২৭ কোটি টাকা যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে , বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল IndiGo