বিদ্যুতের ১৫২টি ট্রান্সফরমারও রাজ্য জুড়ে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অনেক এলাকায় অন্ধকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানী সিমলায়ও পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি থামার পর দ্বিতীয় দিনেও দুর্ভোগ কাটেনি। বুধবারও বিয়াস নদীতে আরও দুজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তাদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। বিয়াস থেকে এখনও পর্যন্ত ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যে পানীয় জলের ৩৭৩৭টি প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধর্মশালায় ৩১১, চাম্বায় ৫৫৩, নুরপুরে ১২৯, সুন্দরনগরে ৪৭৫, কুল্লুতে ১৯৩, লাহৌল-স্পিতিতে ৩৮, হামিরপুরে ১৫৩, বিলাসপুরে ৮৪, উনায় ২৫৭, ধরমপুরে ১১১, শিমলা-৯৭৪ রোহরুতে ২৯৪, রেকং পিওতে ২৬১টি, নাহানে ১০৭টি, সোলানে ২৯২টি প্রকল্প। একইভাবে ৯৯৪টি সেচ প্রকল্প অচল হয়ে পড়েছে। বুধবার পর্যন্ত জল সরবরাহের ২৮০০টি প্রকল্প পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিদ্যুতের ১৫২টি ট্রান্সফরমারও রাজ্য জুড়ে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অনেক এলাকায় অন্ধকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানী সিমলায়ও পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ধৌলকুয়ানের সুদনওয়ালা খাদের পানির প্রবাহের কারণে দুই ডজন বস্তিতে জল ঢুকেছে, যার মধ্যে ছয়টি বস্তি ভেসে গেছে। চাম্বা জেলার চুরাহ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুটি পেট্রোল পাম্পে তেল ফুরিয়ে গেছে।
বায়ুসেনা থেকে দ্বিতীয় হেলিকপ্টার পেল হিমাচল
হিমাচল প্রদেশ দ্বিতীয় হেলিকপ্টার পেয়েছে বায়ুসেনা। এটি রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পরে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতাকে আরও গতি দেবে। এ পর্যন্ত রাজ্যে ত্রাণ কাজে নিয়োজিত ছিল বায়ুসেনার একটি মাত্র হেলিকপ্টার। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আরেকটি হেলিকপ্টার নেওয়া হয়েছে। তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
কুঞ্জম ও চন্দ্রতালে তুষারপাত
কুঞ্জম ও চন্দ্রতালে তুষারপাত হয়েছে। চন্দ্রতালে এখনও ৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। সেগুলো এখনো সরানো হয়নি। প্রশাসন ছয় সদস্যের একটি দল পাঠিয়েছে। অমরনাথ যাত্রায় আসা সতাউনের ১৬ ভক্ত সারচুতে আটকা পড়েছেন
সাতান থেকে অমরনাথ যাত্রায় যাওয়া ১৬ জন তীর্থযাত্রীর একটি দল গত পাঁচ দিন ধরে লাদাখের সারচুতে আটকে আছে। সেখানে ভাড়া করা টিনের চালায় ভক্তরা অবস্থান করছেন। বুধবার, শিল্পমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চৌহান এবং প্রাক্তন বিধায়ক বলদেব তোমর তাঁর সাথে কথা বলেছেন এবং তাকে শীঘ্রই বের করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ৩০ জুন সাতাউন থেকে ১৬জনের একটি দল অমরনাথ যাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু রাজ্যের জনগণতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি থেকে না বার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ভূমিধস হড়পা বান আর প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এই রাজ্য। প্রায় স্তব্ধ স্বাভাবিক জনজীবন। মানালি, কুলু, কিন্নর, চাম্বা প্রবল ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিয়াস, রাভি, সাতলুজ, সোয়ান, চেনাব একাধির নদীর এখনও প্রবল গতিতে বইছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই রাজ্যে আবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।