চলে গেলেন জেটলি, রেখে গেলেন ১১ মাইলস্টোন

  • পড়াশোনা নয়া দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল
  • কেরিয়ার শুরু করেন একজন সফল আইনজীবি হিসাবে
  • বিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে নিযুক্ত ছিলেন
  • বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের ভুমিকাও পালন করেছেন
Indrani Mukherjee | Published : Aug 24, 2019 1:23 PM / Updated: Aug 24 2019, 01:26 PM IST

স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ অরুণ জেটলির জন্ম হয় ১৯৫২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন অরুণ জেটলি। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা বাজপেয়ী সরকার এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারে অর্থমন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার, কমার্স ও ইন্ডাস্ট্রি এবং আইন ও বিচারবিভাগীয় দফতর সামলেছেন।

প্রসঙ্গত কলেজ জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন তিনি। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অরুণ জেটলি রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতের শীর্ষ আদালতে সিনিয়ার অ্যাডভোকেট হিসাবেও কাজ করেছেন অরুণ জেটলি। তবে ২০১৯ সালে নবনির্বাচিত মোদী সরকারের মন্ত্রীসভায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের সময়ে তিনি তাঁর শারিরীক অসুস্থতার জন্য কোনও দায়ভার নিতে পারবেন না বলেও জানান। 

Latest Videos

এক নজরে জেনে নিন অরুণ জেটলি সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য-

১) একটি পাঞ্জাবি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল অরুণ জেটলির। তাঁর বাবার নাম মহারাজ কিষেন জেটলি এবং মায়ের নাম রত্নপ্রভা জেটলি। পড়াশোনা নয়া দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে, কেবলমাত্র পড়াশোনাই নয়, পাশাপাশি পাঠক্রম বহির্ভুত কাজকর্মেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন তিনি। 

২) তিনি তাঁর কেরিয়ার শুরু করেন একজন সফল আইনজীবি হিসাবে। কিন্তু পরে একজন দায়িত্ববান মন্ত্রী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় তিনি বরাবরই প্রধানমন্ত্রী এক বিশেষ সহযোগী হিসাবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। 

৩) দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অরুণ জেটলি। শুধু তাই নয় একজন আইনজীবি হিসাবেও তিনি বহু নীতি বা পলিসির প্রচলন করেছিলেন। মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার সময়ে তিনি বিভিন্ন ইনফাস্ট্রাকচর প্রজেক্ট, কর এবং বিনিয়োগের বিষয়ে অনেক দ্রুততার সঙ্গে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 

৪) ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এনডিএ সরকারের আমলে তিনি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প এবং আইনি ও বিচারিভাগীয় বিষয়ক মন্ত্রীর পদে নিজের দায়ভার সামলেছেন। 

৫) তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে অরুণ জেটলি বিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে নিযুক্ত ছিলেন। তবে আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর সেই পদ থেকে সরে আসেন জেটলি। 

৬) ২০০২  এবং ২০০৪ সালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের ভুমিকা পালন করেছিলেন অরুণ জেটলি। পরে ২০০৯ সালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

৭) বিজেপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন তিনি আটটি বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। যেখানে বিজেপি জয়যুক্ত হয়েছিল। 

৮) ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন জেটলি। সেই সময়ে প্রথমে তাঁকে আটক করে আম্বালা জেলে রাখা হয়েছিল পরে দিল্লির তিহার জেলে আটকে রাখা হয়।

৯) ভাষার ওপর অসাধারণ দখল ছিল অরুণ জেটলির, সেইসঙ্গে কথোপকথনেও দৃঢ় প্রত্যয় এবং সঠিক স্থানে সঠিক শব্দ চয়নের অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। 

১০)  পেপসিকো এবং কোকাকোলার মতো কোম্পানির একাধিক আইনি বিষয়ে আদালতে উত্থাপন করেছিলেন জেটলি।

১১)  ১৯৮২ সালের ২৪ মে তারিখে সঙ্গীতা ডোগরার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল অরুণ জেটলি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের নাম রোহন জেটলি এবং সোনালি জেটলি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury